Howrah: আটদিন ধরে বাড়ি ফেরেননি যুবক, আচমকাই অচেনা নম্বর থেকে বাড়িতে এল ফোন
Howrah: ইমরানের দাদা বাপি শা জানান, তাঁর ভাই নিখোঁজ হওয়ার আগের দু'দিন বেশ অদ্ভূত আচরণ করছিলেন।
হাওড়া: আটদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের দেওর। রবিবার রাতে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে উদয়নারায়ণপুর (Udaynarayanpur) পেঁড়ো থানার রামচন্দ্রপুরের কাছে উদ্ধার হয় মৃতদেহ (Body Recover)। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট নয় বলছে পরিবারের লোকজন। যদিও তাঁরা এখনও পুলিশে কোনওরকম অভিযোগ দায়ের করেননি। নিহতের দাদার কথায়, “অভিযোগ দায়ের নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।” এই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। কেন গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী পুলিশে অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে এত ‘চিন্তাভাবনা’ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুলিশও নিজের মতো করে তদন্ত শুরু করেছে। উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের তেহট্ট কাঁটাবেড়িয়া-২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের ভাই ইমরান শা। ৩০ বছর বয়স তাঁর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিন অষ্টেক আগে মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। তিনদিন আগে রামচন্দ্রপুরের কাছ থেকে ওই মোটরবাইকটি উদ্ধার হয়। এরপরই রবিবার ইমরানের দেহ পাওয়া যায় একটি পুকুর থেকে।
ইমরানের দাদা বাপি শা জানান, তাঁর ভাই নিখোঁজ হওয়ার আগের দু’দিন বেশ অদ্ভূত আচরণ করছিলেন। কখনও চুপচাপ বসে থাকছিলেন, কখনও আবার কান্নাকাটি করছিলেন। ভাইয়ের এমন আচরণ দেখে অবাক হন দাদা। তিনি ঠিক করেন ভাইকে ডাক্তার দেখাবেন। সেইমতো ব্যবস্থাও করেন। এরইমধ্যে হঠাৎই ইমরানের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বাপি জানান, গাববেরিয়া হাসপাতাল, উলুবেড়িয়া, বাউরিয়া, চেঙ্গাইল সমস্ত জায়গার হাসপাতালগুলিতে খোঁজ করেন। কিন্ত আমতায় খোঁজ করার কথা তাঁদের মনে ছিল না। যদিও পরে পুলিশ মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করে জানতে পারে, আমতায় রয়েছেন ইমরান।
বাপি শা বলেন, “রোজার জন্য ভোরে উঠতে হয়। শনিবার একটু কান্নাকাটি করছিল ভাই। রবিবার ওর কথাবার্তাও কেমন যেন শোনাচ্ছিল। তখনই মনে হল ওর কিছু সমস্যা হচ্ছে। বাড়িতে বললাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখাতে হবে। উলুবেড়িয়ার একজন ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টও নেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎই ও বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বহু খুঁজেও পাইনি। গাববেরিয়া হাসপাতাল, উলুবেড়িয়া, বাউরিয়া, চেঙ্গাইল সব জায়গায় খুঁজি। তারপর ওসিকে জানালাম। সোমবার আমাকে ফোন করেছিল ভাই। কিন্তু কিছুতেই কোথায় আছে বলল না। এরপরই মঙ্গলবার ওসি জানান, আমতায় লোকেশন পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু পাইনি। একটা মাজারে ও রাতে ছিল বলে স্থানীয় কয়েকজন জানান।” বেশ কয়েকজনকে ফোন নম্বর দিয়ে এসেছিলেন বাপি। রবিবার তাঁরাই ফোন করে জানান, একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরই পরিবারের লোকজন গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন।