CCTV cameras installed : বেগ পেতে হয় তদন্তে, নজরদারি বাড়াতে ৪০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসাল হাওড়া সিটি পুলিশ
Howrah: কখনও বা রাস্তার ধারে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে দুর্ঘটনার ছবি। যা পুলিশকে তদন্তে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যায়।
হাওড়া: বিভিন্ন ঘটনার তদন্তে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সাহায্য করে পুলিশকে। কখনও অপরাধের ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়। কখনও বা রাস্তার ধারে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে দুর্ঘটনার ছবি। যা পুলিশকে তদন্তে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যায়। সেইসব সুবিধার জন্যই হাওড়া শহর-সহ জাতীয় সড়কে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় যশের কারণে খারাপ প্রায় ৪০০-র বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা হয়ে গিয়েছিল। ফলে পথ দুর্ঘটনা থেকে নানারকম অসামাজিক কাজকর্ম এমনকী খুনের তদন্ত করতেও বেগ পেতে হচ্ছিল হাওড়া সিটি পুলিশকে। অবশেষে কয়েকমাস ধরে ধাপে ধাপে নতুন করে এইসব সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হল। ফলে আগের মতোই নানা তদন্তে এইসব সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্য পাওয়া যাবে । এমনই জানাচ্ছেন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
মঙ্গলবার হাওড়ার পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর জানালেন, ডোমজুড় ও সাঁকরাইলকে বাদ দিলে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় এক হাজারেরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এই ক্যামেরাগুলির মধ্যে ঝড়ের তাণ্ডবে যে সব ক্যামেরা বিকল হয়ে গিয়েছিল সেগুলি আবার মেরামত করা হয়েছে । কিংবা নতুন করে বসানো হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, শিবপুর পুলিশ লাইনের কন্ট্রোল রুম থেকে এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলির সাহায্যে পুরো পুলিশ কমিশনারেট এলাকার উপর নজরদারি চালানো হয়ে থাকে। কোনও দুর্ঘটনা, অসামাজিক কার্যকলাপ কিংবা খুন হলে এই ক্যামেরাগুলির সাহায্যে সহজেই তার প্রমাণ নির্ধারণ করা যায়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্যামেরাই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় থানাগুলিকে। ঘূর্ণিঝড় যশের কারণে হাওড়া শহরের এরকমই ৪০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা জল ঢুকে, বাজ পড়ে এবং প্রবল হাওয়ায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মূলত বিদ্যাসাগর সেতু, হাওড়া স্টেশন অঞ্চল, হাওড়া ব্রিজ ও গোলাবাড়ি থানা এলাকায় বেশি ক্যামেরা এভাবে খারাপ হয়ে যায়।
অন্যদিকে ধুলোগড় থেকে সলপ পর্যন্ত কমিশনারেট এলাকার জাতীয় সড়কের বেশ কিছু ক্যামেরাও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পরে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে ক্যামেরাগুলি সারানো হয় কিংবা নতুন ক্যামেরা বসানোর কাজও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পুলিশ কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন ছোট, বড় রাস্তায় এরকম আরও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। এছাড়াও লিলুয়া, বালি, নিশ্চিন্দা ও উত্তর হাওড়ায় বেশ কিছু এলাকার ভিতরের দিকেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা চিন্তা করছেন পুলিশ কর্তারা। অনেক এলাকাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য তা সম্ভব হয়নি। আগামী দিনে সেই কাজও করা হবে। প্রতি বছরই সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করে হাওড়া সিটি পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: Mahishadal Women Harassment: প্রেমের প্রস্তাবে কেন না? যুবতীকে ‘অ্যাসিড ছুঁড়ব’ বলে শাসানি যুবকের