Jalpaiguri: ইতিমধ্যে আক্রান্ত ১৬ জন, বাংলায় ভয় ধরাচ্ছে এবার এই রোগ
Jalpaiguri:বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই রোগের বাহক কিউলেক্স মশা। কারোর শরীরে গোদ থাকলে রোগীর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ফুলে যায়। বিশ্রামরত অবস্থায় পরীক্ষা করলে এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। সেই কারণে রাতের দিকে এই সমীক্ষার সময়সূচি ঠিক করা হয়।
ধূপগুড়ি: ডেঙ্গি,ম্যালেরিয়ায় রক্ষে নেই, তার উপর আবার জলপাইগুড়িতে চিন্তা বাড়াচ্ছে ফাইলেরিয়া বা গোদ। জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, ধূপগুড়ি মহকুমায় নতুন করে ষোলো জনের শরীরে মিলেছে ফাইলেরিয়ার জীবাণু। আর এই রোগ নির্মুল করতে অভিযানে নামল স্বাস্থ্য দফতর। ৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ওষুধ খাওয়াবেন রোগ নিরাময়ে।
গোদের খোঁজে সেপ্টেম্বর মাসে নাইট সার্ভে করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে ২০ টি জায়গায় রাত্রিবেলা বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা চালান স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। মুলত, জলপাইগুড়ি জেলার চা বাগান অধ্যুষিত এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের রক্তে মিলেছে এর নমুনা। পাশাপাশি হলদিবাড়ি চা বাগানে ৪ জনের শরীরে এবং কারবালা চা বাগানের ১২ জন শ্রমিকের শরীরে মিলেছে ফাইলেরিয়ার জীবাণু। রোগ চিহ্নিত করার জন্য জেলার সাতটি ব্লক এবং তিনটি পুরসভা মিলিয়ে ২০ টি জায়গায় হয় সমীক্ষা। সমীক্ষা চলে রাত আটটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই রোগের বাহক কিউলেক্স মশা। কারোর শরীরে গোদ থাকলে রোগীর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ফুলে যায়। বিশ্রামরত অবস্থায় পরীক্ষা করলে এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। সেই কারণে রাতের দিকে এই সমীক্ষার সময়সূচি ঠিক করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অঙ্কুর চক্রবর্তী জানান, “১০ই ফেব্রুয়ারি থেকে সকলকে ফাইলেরিয়া নির্মুল করার জন্য ওষুধ খাওয়ানো কর্মসূচি শুরু হবে। দু’রকমের ট্যাবলেট একসঙ্গে খাওয়ানো হবে প্রত্যেককে। ভরা পেটে এই ওষুধ খেতে হবে। সুরক্ষিত হবেন সাধারণ মানুষ। জেলা জুড়াই এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। ইতি মধ্যেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পঞ্চায়েত সদস্য সকলকে জানানো হয়েছে। ১০ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত হাসপাতাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খাওয়ানো হবে। এরপর ১৯ শে ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এই ওষুধ খাওয়ানো হবে। এই কর্মসূচিতে ৫০০ জনের উপরে স্বাস্থ্যকর্মী নিযুক্ত হবেন।”