Jalpaiguri : ৪ লক্ষের বকেয়া না পেয়ে বিষ খেয়েছিলেন বিডিও অফিসেই, হল না শেষ রক্ষা, মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন গৌতম

Jalpaiguri : শেষ রক্ষা হল না, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বিডিও অফিসে বিষ পান করা ময়নাগুড়ির ঠিকাদার গৌতম দাস।

Jalpaiguri : ৪ লক্ষের বকেয়া না পেয়ে বিষ খেয়েছিলেন বিডিও অফিসেই, হল না শেষ রক্ষা, মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন গৌতম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2023 | 11:42 PM

জলপাইগুড়ি : খাবার দিতেন বিডিও অফিসে। কিন্তু দীর্ঘদিন খাবার দেওয়ার পরেও পাননি বকেয়া টাকা। বারবার দরবার করেও কোনও কাজ হয়নি। আর সে কারণেই একদিন আগে ময়নাগুড়ি (Maynaguri) বিডিও (BDO) অফিসে গিয়ে সকলের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এলাকার বাসিন্দা গৌতম দাস। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। চলছিল যমে মানুষে টানাটানি। তবে শেষ রক্ষা হল না। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন গৌতম। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।

ময়নাগুড়ি বিডিও অফিস পাড়ার বাসিন্দা গৌতম দাস এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। ময়নাগুড়িতে খাবারের দোকান ছিল তাঁর। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মৌখিক অর্ডারে ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে খাবার সরবরাহ করছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর পরিবারে অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকে খাবার দিয়েও গেলেও টাকা পাননি তাঁরা। বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪ লক্ষ টাকারও বেশি। বহু বার বিডিও অফিসে দরবার করে বকেয়া বিল পাননি। ব্যবসা চালাতে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে ছিলেন গৌতমবাবু। এমনকী সম্প্রতি বিদ্যুতের বিল দিতে না পারায় তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের দাবি, সেই অভিমানে বুধবার বিকেলে সুইসাইড নোট লিখে ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে গিয়ে বিষ পান করেছিলেন গৌতমবাবু। 

বুধবার রাতেই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর চিকিৎসায় তৈরি হয়েছিল মেডিক্যাল টিম। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই মৃত্যু হল ময়নাগুড়ির ঠিকাদার গৌতম দাসের। এই ঘটনায় ভেঙে পরেছে গৌতমবাবুর পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। বাবার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় ছেলে বর্নজিৎ দাসকে। তবে এই ঘটনার পরে পরিবার আইনের দারস্থ হবে কি না সেই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি তিনি। ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী গতকালই  জানিয়েছিলেন গৌতমবাবুর কাছে কোনও ওয়ার্ক অর্ডার ছিল না। তাই তার পক্ষে ওই বিল মেটানো অসম্ভব। অপরদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে উত্তেজনার আশঙ্কায় ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে পুলিশের প্রহড়া বাড়ানো হয়েছে।