Jalpaiguri: ৩হাজার টাকা দর হাঁকিয়ে দেহ নিতে অস্বীকার, জলপাইগুড়ির সেই শববাহী যান চালকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ পুলিশ কর্তার
Jalpaiguri: "আজ আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে। যা আমরা অবশ্যই মেনে চলব। পাশাপাশি আজ রাতে আমরা বৈঠকে বসে নতুন রেট চার্ট তৈরি করব।"
জলপাইগুড়ি: অর্থাভাবে মায়ের মৃতদেহ শবদেহবাহী গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ নেই। তাই মায়ের মৃতদেহ কাঁধে তুলে চললেন দিনমজুর ছেলে। জলপাইগুড়িতে একটা মর্মান্তিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবারই। করুণ এই ঘটনার নেপথ্যে উঠে এসেছে বেসরকারি শববাহী যানের জুলুমবাজির অভিযোগ। ৩ হাজার টাকা দর হাঁকানো শববাহী যানের চালকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো। একইসঙ্গে পুলিশ সুপারের নির্দেশে জলপাইগুড়ি সদর ট্রাফিক অফিসে প্রাইভেট শববাহী চালকদের সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। এদিনের সচেতনতা শিবিরে শববাহী চালকদের আরও মানবিক হওয়ার অনুরোধ জানান জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ সেন।
অন্যদিকে, শববাহী যানের চালক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ দাস বলেন, “আজ আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে। যা আমরা অবশ্যই মেনে চলব। পাশাপাশি আজ রাতে আমরা বৈঠকে বসে নতুন রেট চার্ট তৈরি করব।”
লক্ষ্মীরানি দেওয়ান নামে এক মহিলা অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য ছেলের কাছে তিন হাজার টাকা চান স্থানীয় গাড়ি চালকেরা। তা দিতে পারেননি ছেলে। ফলে সমস্যা থেকেই যায়। শববাহী চালকরা দেহ নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে কাঁধেই মায়ের দেহ তুলে হাঁটা লাগান দিনমজুর যুবক। সঙ্গে কাঁধ দেন বাবাও। জলপাইগুড়ি থেকে ক্রান্তি দূরত্ব প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার। সাত সকালে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার এই করুন ছবি নাড়া দিয়েছে অনেককেই। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের বাইরে দাঁড়ানো শববাহী যানগুলির এত দৌরাত্ম্য কীসের? নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। শববাহী যানচালকদের আরও মানবিক হওয়ার পরামর্শ দেন খোদ জেলাপুলিশের অতিরিক্ত সুপার।