Jalpaiguri: এই শীতে হঠাৎ কী হল! কার্যত খাঁ খাঁ করছে হিমালয়ের পাদদেশে জঙ্গলে ঘেরা মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘ভোরের আলো’
Jalpaiguri: বছরের শেষ দিনে ফি বছর ভিড় উপচে পড়ে তিস্তা সেচ প্রকল্প সংলগ্ন গজল ডোবা 'ভোরের আলো'য়। পর্যটকদের পাশাপাশি আশেপাশের মানুষেরা এসে পিননিকও করেন। কিন্তু এবারে সেই সংখ্যা অনেক কম।
জলপাইগড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ গাজলডোবার পর্যটন হাব। তিনি নাম দিয়েছেন ‘ভোরের আলো’। ভৌগলিক অবস্থানগত দিগ থেকে মনোরম পরিবেশ। একদিকে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল, একদিকে তিস্তা সেচখাল, তিস্তায় বিশাল বাঁধ এবং জলাধার। উত্তরে তাকালেই হিমালয়, কাঞ্চনজঙ্ঘারাজ্যের ‘ভিউ’। অন্যতম সেরা ডুয়ার্সের ‘ভোরের আলো’ পর্যটন কেন্দ্রকে আরও সুন্দর করে তুলতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। পর্যটক বাড়াতে সম্প্রতি এখানে তৈরি করা হয়েছে ‘সিডনির হারবার ব্রিজে’র আদলে ব্রিজ। যা ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করে গিয়েছেন। কিন্তু এবারে বছর শেষে তেমন ভিড় হয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। আর এর পেছনে সম্প্রতি তিস্তার বন্যা উত্তর পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন।
বছরের শেষ দিনে ফি বছর ভিড় উপচে পড়ে তিস্তা সেচ প্রকল্প সংলগ্ন গজল ডোবা ‘ভোরের আলো’য়। পর্যটকদের পাশাপাশি আশেপাশের মানুষেরা এসে পিননিকও করেন। কিন্তু এবারে সেই সংখ্যা অনেক কম। আর এর পেছনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তিস্তার বন্যাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা।
তিস্তার বন্যায় এবার সেনাবাহিনীর প্রচুর গোলা বারুদ ভেসে এসেছে। নদীর চর থেকে সেইসব উদ্ধার হয়েছে। মর্টার শেল ফেটে মৃত্যুও ঘটেছে। সেই আতঙ্ক রয়েছে। এর পাশাপাশি ভোরের আলোয় অন্যতম আকর্ষণ নৌকা বিহার। তিস্তার যেইসব চ্যানেল দিয়ে নৌকা বিহার করা হয় বন্যার কারণে সেইসব চ্যানেলগুলি পলি দিয়ে ভরে গিয়েছে। ফলে নৌকা নিয়ে বেশি দূর যাতায়াত করা যাচ্ছে না। তাই অনেকেই নৌকা বিহার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মাঝিদের। নদীর পাড়ে সারি সারি সুসজ্জিত নৌকা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
তবুও এইসবকে দূরে সরিয়ে রেখে এখানে এসেছে কিছু পর্যটক। যাঁরা এবার পিকনিক বা নৌকা বিহার করছেন। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
লক্ষ্মী বর্মন, মনোজ কারক, রুমা দাসেরা জানালেন, একদিকে বছরের শেষ দিন, অন্যদিকে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী কৃষ্ণ রায় অবশ্য বললেন, “অন্যান্যবার প্রচুর ভিড় থাকে। কিন্তু এবারে ভিড় অত্যন্ত কম। মনে হয় বন্যার কারণে লোক কম এসেছে।” নৌকার মাঝি নিমাই মণ্ডল বলেন, “সরকার পলি সরানোর ব্যবস্থা করলে আমরা আবার আগের মতো নৌকা চলাচল করতে পারব। তখন ট্যুরিস্ট বাড়বে। আমাদের আয় বাড়বে।”
ব্যাবসায়ীদের এই অভিযোগ নিয়ে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন জানান, মাঝি বা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। যদি অভিযোগ জানায় তবে বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন।