Chinese Ferret Badger: দেখতে বড় মাপের কাঠবেড়ালির মতো, কিন্তু হিংস্র! ডুয়ার্সের জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চাইনিজ ফ্রেট ব্যাজার
Wildlife in Dhupguri: এটি দেখতে অনেকটা কাঠবিড়ালির মতো, তবে নখগুলি ভল্লুকের মতো। এই গায়ের রং কালো এবং সাদা ডোরাকাটা। তবে হিংস্র হলেও তা মানুষের উপর আক্রমণ করে না।
ধূপগুড়ি : বিরল প্রজাতির চাইনিজ ফ্রেট ব্যাজার দেখা মিলল লোকালয়ে। প্রাণীটিকে দেখতে অনেকটা বড় মাপের কাঠবেড়ালির মতো। এই প্রাণীটিকে দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পরেন এলাকাবাসী। ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের গধেয়ারকুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বগড়িবাড়ি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, এই বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীটি মঙ্গলবার বিকেলে বগড়িবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আর যেহেতু কিছুদিন আগেই এলাকায় ভল্লুকের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, তাই এটি দেখে প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। এরপর ওই প্রাণীটির ছবি তুলে পশুপ্রেমী সংগঠন ও বন বিভাগকে পাঠানো হয়। সেই সময়ই জানা যায় এটি একটি বিরল প্রজাতির চাইনিজ ফ্রেড ব্যাজার। এটিকে বার্মিজ ফ্রেট ব্যাজারও (Burmese ferret-badger) বলা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত শুকনো ঝোপ জঙ্গলে থাকে এবং হিংস্র হয়।
এটি দেখতে অনেকটা কাঠবিড়ালির মতো, তবে নখগুলি ভল্লুকের মতো। এই গায়ের রং কালো এবং সাদা ডোরাকাটা। তবে হিংস্র হলেও তা মানুষের উপর আক্রমণ করে না। এদিকে বিরল প্রজাতির এই ধরনের বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসায় চিন্তিত পরিবেশবিদরা। তাদের প্রশ্ন কীভাবে এই ধরনের বন্যপ্রাণী জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে? তবে কি জঙ্গলে তাদের থাকার মত আর পরিবেশ নেই? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, এটা একটা বিরল প্রজাতির প্রাণী। এরা সচরাচর লোকালয়ে পাওয়া যায় না। তবে গত চার বছর ধরে এদের হদিস মিলছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন গ্রামে। কী কারণে এটি লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে তার খোজ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকবার ধূপগুড়ি এলাকায় এই চাইনিড ফেরেট ব্যাজারের খোঁজ মিলেছিল। বিশেষ করে ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে এদের দেখা মেলে। আর শুধু ফেরেট ব্যাজারই নয়, এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীকেও মাঝেমধ্যেই ডুয়ার্সের জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।