সিবিআই নয়, তদন্ত করবে এডিজি-র নেতৃত্বাধীন সিআইডি, উলেন রায় মামলায় নির্দেশ আদালতের

২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট সার্কিট বেঞ্চের সামনে পেশ করতে হবে।

সিবিআই নয়, তদন্ত করবে এডিজি-র নেতৃত্বাধীন সিআইডি, উলেন রায় মামলায় নির্দেশ আদালতের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 28, 2021 | 6:44 PM

জলপাইগুড়ি: এডিজি সিআইডির নেতৃত্বে উত্তরকন্যা অভিযানে নিহত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের মৃত্য়ুর তদন্ত করতে হবে। মৃতের পরিবারের সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের নির্দেশ, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে উলেন রায় কাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে হবে। মামলার তদন্তের জন্য আদালত ৫ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়। পাশাপাশি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট সার্কিট বেঞ্চের সামনে পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ।

মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের আইনজীবী জানান, আদালতের নির্দেশ মাফিক আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সিআইডির রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করবেন তাঁরা। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করবেন তার পরে। এদিকে সরকারি আইনজীবী বিক্রমাদিত্য ঘোষ বলেন, সিবিআই তদন্তের জন্য যে যে প্যারামিটার দরকার তা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আদালত। তবে তদন্তে স্বচ্ছতার জন্য সিআইডি’র এডিজি স্থানীয় অফিসারের তত্ত্বাবধানে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: ‘অরূপ রায় বিজেপিতে আসতে চাইছেন, কিন্তু নেব না’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানে শিলিগুড়িতে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ওইদিন শটগান বা প্যালেট গানের গুলিতে মৃত্য়ু হয় জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের। এই মৃত্য়ুর ঘটনায় শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি অভিযোগ করে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল সরাসরি বুকে এসে লাগে উলেন রায়ের। তাতেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। যদিও পুলিশের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শটগানের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। কিন্তু পুলিশ এই বন্দুক ব্যবহার করে না। প্রশাসনের তরফে এও বলা হয়, উত্তরকন্যা অভিযানে আসা একাধিক আন্দোলনকারীর হাতে বন্দুক ছিল। রাজ্য পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এও বলা হয়, উত্তরকন্যা অভিযানে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের আনা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ‘ভাল শিক্ষক চাই’, টেট নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের

এরপর বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় আর একপ্রস্ত বিতর্ক। বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে শুরু হয় আইনি লড়াই। এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হলেও তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মৃতের পরিবার। তারা সিবিআই তদন্তের আর্জি নিয়ে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে রিট পিটিশন করে। তবে বৃহস্পতিবার সেই আর্জি খারিজ করে সিআইডি’র হাতেই মামলার ভার ন্যস্ত রাখল আদালত।