Physically assault: ভাইবোনদের সঙ্গে ঘুমোনোর আবদার যুবকের, রাতে ৯ বছরের নাবালিকাকে…
Physically assault: ৯ বছর বয়সী ওই নাবালিকা তার কাকার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। এরপর কয়েকদিন ধরে সেখানেই ছিল। এরমধ্যে একদিন রাতে বৃষ্টির মধ্যে ওই বাড়িতে আসে নাবালিকার আত্মীয় ওই দাদা। ওই যুবক পেশায় গাড়ি চালক। ওই বাড়িতে ঘর কম থাকার কারণে নাবালিকার কাকিমা যুবককে ঘরের বারান্দায় তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঘুমোনোর কথা বলেন।
জলপাইগুড়ি: রাতে ভাইবোনদের সঙ্গে ঘুমোতে চেয়েছিলেন। অন্য জায়গায় ঘুমোনোর কথা বললেও রাজি হননি। শেষে ভাইবোনদের সঙ্গেই ঘুমিয়েছিলেন। আর রাতে তাঁর পাশবিক অত্যাচারের শিকার হল ৯ বছরের এক বালিকা। ওই বালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষীসাব্যস্ত ওই যুবকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড হল। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক ইন্দবর ত্রিপাঠী এই সাজা ঘোষণা করেন। দোষী সাব্যস্ত যুবকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড। একইসঙ্গে ওই নাবালিকাকে ক্ষতিপুরণ বাবদ লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনায় সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, জলপাইগুড়ি মহিলা থানার অধীনে থাকা এক এলাকায় ২০১৯ সালে জুলাই মাসে ঘটনাটি ঘটেছিল। ৯ বছর বয়সী ওই নাবালিকা তার কাকার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। এরপর কয়েকদিন ধরে সেখানেই ছিল। এরমধ্যে একদিন রাতে বৃষ্টির মধ্যে ওই বাড়িতে আসে নাবালিকার আত্মীয় ওই দাদা। ওই যুবক পেশায় গাড়ি চালক। ওই বাড়িতে ঘর কম থাকার কারণে নাবালিকার কাকিমা যুবককে ঘরের বারান্দায় তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঘুমোনোর কথা বলেন। কিন্তু ওই যুবক রাজি হননি। ভাইবোনদের সঙ্গে ঘরে ঘুমোন। সেই রাতেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন তিনি।
এরপর বাড়ি ফিরে নাবালিকা অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। ঘুমের মধ্যে শিউরে উঠতে থাকে। তার মা চেপে ধরলে সব জানায়। পরদিন নাবালিকার মা জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৫ বছর ধরে মামলা চলে। মোট ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এরপর এদিন বিচারক ওই যুবককে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।