AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dooars: এক্কেবারে বিনা সুদেই ঋণ বলা যেতে পারে! কোটি টাকার লোন দেওয়ার পরই সামনে কেলেঙ্কারি

Dooars: মূলত ইংডং, চুলসা, আইভিল-সহ বেশ কয়েকটি বাগানে মহিলাদের ঋণের প্রবণ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গোষ্ঠী তৈরি করা হচ্ছিল। মহিলাদের ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নাম ব্যবহার করে একাধিক মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকে টাকা তোলা হচ্ছিল।

Dooars: এক্কেবারে বিনা সুদেই ঋণ বলা যেতে পারে! কোটি টাকার লোন দেওয়ার পরই সামনে কেলেঙ্কারি
এলাকায় উত্তেজনাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2025 | 11:04 AM
Share

ডুয়ার্স: ঝুপড়ি বাড়িতে থাকেন ওঁরা। স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল পাকা বাড়ির। পাকা বাড়ি তৈরি জন্য লাগবে ঋণ। আর সেই কম সুদে সেই ঋণও পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। সেই ফাঁদেই পা দিয়েছিলেন অনেকে। আর তাতেই সর্বনাশ। চা বাগানের মহিলাদের লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালবাজার মহকুমার মেটেলি এলাকায়। এই ঘটনায় মাইক্রো ফাইন্যান্স সংস্থার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মেটেলি থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন নেওড়া চা বাগানের প্রেমচাঁদ মাহালি এবং ইংডং চা বাগানের সঞ্জয় মাহালি।

মূলত ইংডং, চুলসা, আইভিল-সহ বেশ কয়েকটি বাগানে মহিলাদের ঋণের প্রবণ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গোষ্ঠী তৈরি করা হচ্ছিল। মহিলাদের ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নাম ব্যবহার করে একাধিক মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকে টাকা তোলা হচ্ছিল।

অভিযোগ, সেই টাকা ভুক্তভোগীরা না পেলেও হাতিয়ে নিচ্ছিল চক্রের সদস্যরা। এই ঘটনায় মাটিয়ালি ব্লকের একাধিক চা বাগানের মহিলারা মেটেলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমনকি প্রতারকদের বিরুদ্ধে চা শ্রমিকরা বিক্ষোভও দেখান সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অফিসের সামনে।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মেটেলি থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করলে বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই চক্রে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পুরো প্রতারণা চক্রের মূল চক্রান্তকারীদেরও শনাক্ত করতে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মাল ও মেটেলি থানার পাশাপাশি মাল মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন প্রতারিত মহিলারা, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে।