leopard attack: দু’সপ্তাহ ধরে লুকোচুরি, শেষ পর্যন্ত বাগে এল চিতাবাঘ
Leopard: চিতাবাঘ লুকিয়ে থাকার খবরে আতঙ্কিত ছিল এলাকার মানুষ ও শেডের কর্মীরা। খবর পেয়ে এলাকায় বার বার আসে বৈকন্ঠপুর ও সুকনা রেঞ্জের কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি: এক থেকে দু’দিন নয়। লাগাতার দু’সপ্তাহ ধরে দাপাদাপি চলছিল চিতাবাঘটির। কোনও মতেই আয়ত্ত্বে আনা যাচ্ছিল না তাঁকে। শেষমেশ খাঁচাবন্দি করা গেল ডেমু শেডে চলে আসা চিতাবাঘটিকে।সপ্তাহ দুয়েক আগে শিলিগুড়ি জংশন এলাকার ডেমু শেডে কোনও ভাবে চলে এসেছিল একটি চিতাবাঘ। তারপর থেকেই বাড়ছিল উৎপাত। এরপর আশ্রয় নিয়েছিল শেডের পাশে থাকা শিলিগুড়ি পৌর নিগমের ১ নং ওয়ার্ড এলাকার ঝোপ জঙ্গলে।
চিতাবাঘ লুকিয়ে থাকার খবরে আতঙ্কিত ছিল এলাকার মানুষ ও শেডের কর্মীরা। খবর পেয়ে এলাকায় বার বার আসে বৈকন্ঠপুর ও সুকনা রেঞ্জের কর্মীরা। তারা বেশ কয়েকবার এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই ধরা পড়ছিল না চিতাবাঘটি। মাঝেমধ্যে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেলেও কোনওভাবেই বাগে আসছিল না সে। যার কারণে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছিল সকলে।
গত কয়েকদিন আগে এলাকায় খাঁচা পাতে বনদফতর।অবশেষে সেই খাঁচায় সোমবার সকালে বন্দি হয় চিতাবাঘটি। এরপর বন দফতরের কর্মীরা চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সুকনার জঙ্গলে। চিতাবাঘ ধরা পড়ায় অবশেষে স্বস্তি ফিরলো ডেমু সেডে কাজ করা শ্রমিক ও এলাকাবাসীদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে চা বাগানের বাংলোর ভিতরে ঝোপের নিচে ঢুকে পড়েছিল চিতাবাঘ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাগানের ম্যানেজার সহ শ্রমিকরা। ডুয়ার্সের বাগ্ৰাকোট চা বাগানের ঘটনা। জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো এই দিনও চা বাগানে কাজকরূ চলছিল। বাগানের ম্যানেজার বাগানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। সেসময় তিনি তার বাংলোর সামনে ঝোপের মধ্যে লক্ষ্য করেন কিছু একটা নড়াচড়া করছে। কিছুটা কাছে যেতেই বুঝতে পারেন সেটি আর অন্য কিছু নয় সেটি হল চিতাবাঘ। এরপরেই নিজেকে বাংলোর ভিতরে বন্দি করে নেন তিনি। খবর দেন মাল বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোর ভিতরে চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বনকর্মীরা ।এরপর ঘুমপাড়ানি গুলি করে চিতা বাঘটিকে কাবু করা হয়।