Ambulence Service: লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে কেনা অ্যাম্বুলেন্স, জমেছে শ্যাওলা, হুঁশই নেই প্রশাসনের
Ambulence Service: বস্তুত, মাঝেমধ্যে ধূপগুড়ি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না মেলার খবর শিরোনামে উঠে আসে। এমনকী এই জলপাইগুড়ি জেলাতেই অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃতদেহ ঘাড়ে নিয়ে সৎকারে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। তার সাক্ষীও রয়েছে গোটা রাজ্য। মৃত মায়ের দেহ অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে কাঁধে করে রওনা দিয়েছিল ছেলে ও বাবা।
জলপাইগুড়ি: দীর্ঘদিন ধরে পড়়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। অভিযোগ, কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। খোদ বিডিও-র ঘরের সামনেই ফেলে রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সগুলি। এ দিকে, অ্যাম্বুলেন্স পড়ে থাকায় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ব্লক প্রশাসনের ভূমিকা।
বস্তুত, মাঝেমধ্যে ধূপগুড়ি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না মেলার খবর শিরোনামে উঠে আসে। এমনকী এই জলপাইগুড়ি জেলাতেই অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃতদেহ ঘাড়ে নিয়ে সৎকারে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। তার সাক্ষীও রয়েছে গোটা রাজ্য। মৃত মায়ের দেহ অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে কাঁধে করে রওনা দিয়েছিল ছেলে ও বাবা। সেই জেলাতেই খোদ বিডিও অফিসের মধ্যেই পরে পরে নষ্ট হচ্ছে একটি নয়, দুটি নয়, তিন-তিনটি অ্যাম্বুলেন্স। জানা যাচ্ছে, কোনওটি বিধায়ক তহবিল থেকে কেনা, কোনটি আবার সংসার তহবিল থেকে কেনা অ্যাম্বুলেন্স। যার দাম মোটামুটি ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা। গরিব অসহায় মানুষের অসুবিধার কথা ভেবেই অ্যাম্বুলেন্স গুলি তুলে দেওয়া হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে। আর সেই অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনকে বিঁধেছে বিজেপি।
অ্যাম্বুলেন্সগুলি দীর্ঘদিন পড়ে পড়ে নষ্ট হওয়ায় করুণ অবস্থা হয়ে গিয়েছে তার। সংস্কারের অভাবে সেগুলিতে জমতে শুরু করেছে শ্যাওলা। সরকার অনুমোদিত অ্যাপে দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে দুটি অ্যাম্বুলেন্স গাদং ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত ও সাকোয়াঝোড়া ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্সরই ইন্সুইরেন্সের মেয়াদ ফুরিয়েছে বহুদিন আগেই। একদিকে যখন মুমূর্ষু রুগীর চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় সে জায়গায় দাঁড়িয়ে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থেকেও কেন তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না উঠছে সেই প্রশ্নই।
তৃণমূল সভাপতি অরূপ দে বলেন, “এই অ্যাম্বুলেন্স চালাতে গেলে অঞ্চল অফিস থেকে যে ত্রাণ প্রয়োজন তা পাওয়া যায় না। বিডিও সাহেবের এই বিষয়টা দেখার উচিত ছিল। তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, “আমি জানতাম না। তবে এটা একদম বাঞ্ছনীয় নয়। কেন পড়ে আছে বিডিওর থেকে জেনে কথা বলব।” তবে এই বিষয়ে বিডিওর বক্তব্য মেলেনি।