Jalpaiguri: ‘ডিএ চাইলেই ভাঁড়ে মা ভবানী’, রাজ্য সরকারকে তুলোধনা বাম নেতার

Jalpaiguri: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অবিলম্বে বকেয়া ডিএ প্রদান সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ি রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গনে উত্তরবঙ্গ জমায়েত করে কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা।

Jalpaiguri: ‘ডিএ চাইলেই ভাঁড়ে মা ভবানী’, রাজ্য সরকারকে তুলোধনা বাম নেতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2022 | 4:09 PM

নীলেশ্বর সান্যাল

জলপাইগুড়ি: উত্তর হোক বা দক্ষিণ, ডিএ নিয়ে রাজনৈতিক অব্যাহত রয়েছে রাজ্যজুড়ে। প্রায়শই এ বিষয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধী নেতারা। “সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেই রাজ্যের ভাঁড়ারে তখন ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা হয়। তাহলে এতো মেলা,খেলা উৎসব কি করে হচ্ছে। রাজ্যকে তাহলে তো দেউলিয়া ঘোষনা করা উচিত।” রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এ ভাষাতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাম (Left) প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ। 

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অবিলম্বে বকেয়া ডিএ প্রদান সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গনে উত্তরবঙ্গ জমায়েত করে কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা। তাঁদের এই জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন খোদ রাজ্য সম্পাদক। এদিকে সম্প্রতি বিরোধীরা অভিযোগ করে বলছে রাজ্য সরকার যদি ঋন না পায় তবে ডিসেম্বর মাসের পর কর্মীদের মাইনে বন্ধ হয়ে যাবে। এ বিষয়েই কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজয় শংকর রীতিমতো ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “যখনই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে তখন সরকারের টাকা নেই টাকা নেই রব ওঠে। অথচ মেলা, খেলা,উৎসব এসব করার বেলায় তাদের টাকার কোনও ঘাটতি হয়না। সম্প্রতি ক্লাব গুলিকে দুশো কোটি টাকার বেশি দিল। অথচ সরকারি কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।” এদিন তিনি দুয়ারে সরকার প্রকল্পের তুমুল সমালোচনা করে বলেন, “এই বিষয়টি আসলে ভেক। এতদিন মানুষকি বিডিও অফিস সহ অন্যান্য জায়গা থেকে পরিষেবা পায়নি? আসলে এই সরকার পঞ্চায়েত স্তরে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। দুর্নীতির ফলে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া বন্দ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা তার বিরোধিতা করে বলেছি দুর্নীতির তদন্ত হোক। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই খেটে খাওয়া মানুষের টাকা আটকানো যাবেনা। আসলে দুয়ারে সরকার মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য করা হয়েছে। ”

এদিকে সাম্প্রতিককালে বাংলাভাগ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে। উত্তরবঙ্গকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করারও দাবি উঠেছে। পক্ষে বিপক্ষে উঠে এসেছে নানা মতামত। যদিও এর তীব্র বিরোধীতা করে এদিন বিজয় শংকর বলেন, “অতীতে আমরা বেশ কিছু নতুন রাজ্য হতে দেখেছি। কিন্তু সেই রাজ্যের লোকেরা কি আদৌও ভালো আছে? আসলে এসব আরএসএস করছে। উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জনজাতির বাস। তাদের মধ্যে বিভেদ ধরিয়ে দিতে চাইছে তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের দেখানো পথেই চলছে। রাজ্য সরকারও  তাদের নীতিকেই গ্রহন করেছে।”