Minor Girl Suicide: ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল, পরিবারের একমাত্র মেয়ের এমন সিদ্ধান্তে কেঁদে কুল পাচ্ছেন না বাবা-মা!
Jalpaiguri Suicide Case: ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠানো হয়েছে।
জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে মর্মান্তিক ঘটনা। ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল হওয়ায় অপমানে আত্মঘাতী এক নাবালিকা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই পরিবারে। এদিকে, অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত নাবালিকার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠানো হয়েছে।
জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ির ঘটনা। সেইখানে থাকত ওই অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীটি। পরিবার সূত্রে খবর, এলাকারই এক যুবক ওই পড়ুয়াকে বারবার উত্ত্যক্ত করত। সম্প্রতি ওই নাবালিকার সঙ্গে জোর করে কিছু ছবি তোলে যুবক। কয়েকদিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি দেখতে পায় নাবালিকা। এরপর লজ্জায় বুঝতে পারে না পরিবারের সদস্যদের কীভাবে মুখ দেখাবে। তখন নেয় চরম সিদ্ধান্ত। শুক্রবার রাতে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার রাতে মেয়েটি তার ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাড়ির লোক তাকে ডাকাডাকি করে। তবে কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের। তখন জানালা ভাঙলে নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় তারা। এরপর ময়নাগুড়ি থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। শনিবার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠানো হয়েছে।
নাবালিকার জেঠু জানায়, “অনেকদিন ধরেই পিছন-পিছন ধাওয়া করছিল ওই ছেলেটি। বারবার উত্যক্ত করছিল মেয়েকে। এরপর ওদের কোনও ছবি ভাইরাল করে দেয় সে। পরে লজ্জায় গতকাল আত্মহত্যা করে। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা। ”