Dooars: দেদার চুরি বোল্ডার, নদীখাতে নেই ড্রেজিং, হড়পাবানের জন্য দায়ী প্রতিবেশী দেশও?

Malbazar: দায়ী বাংলার প্রশাসনও। কারণ, নদীখাত বুজে যেতে দেখেও সবাই হাত গুটিয়ে বসে। অথচ, ভুটানের বৃষ্টির জলে প্রতিবার ভাসে ডুয়ার্সের নদী। তবু হুঁশ নেই। ভুটান অনেকটাই সর্বনাশ করে দিচ্ছে এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

Dooars: দেদার চুরি বোল্ডার, নদীখাতে নেই ড্রেজিং, হড়পাবানের জন্য দায়ী প্রতিবেশী দেশও?
হড়পা বানের জন্য দায়ী ভুটানও?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2022 | 7:13 AM

ডুয়ার্স: দশমীর দিন ভয়বহ হড়পা বানের জেরে প্রাণ খুইয়ে ছিলেন ৮ জন। নিখোঁজ বহু। সেই ঘটনার পর ফের হড়পা বান এসেছিল নদীতে। এই সবের মধ্যে আবার পাহাড়ে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। রবিবার রাত্রিবেলা থেকেই শুরু সিকিম-সহ দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স ও শিলিগুড়িতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যার জেরে সিকিমগামী জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। সোমবার আরও বেশ কিছু জায়গায় ধসের আশঙ্কায় ত্রস্ত পাহাড়। উত্তরবঙ্গের ডিমডিমা, জয়ন্তী, তিতি বাংরি-সহ বেশিরভাগ নদীরই খাত বলে কিছু নেই। মানে নাব্যতা একেবারে তলানিতে। বেশি বৃষ্টি হলেই জল রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যায়। কেন জানেন? দায়ী প্রতিবেশী দেশ ভুটানও।

ডুয়ার্সের নদীগুলোতেও হড়পা বান নামে নিয়মিত। ভুটানে একটানা বৃষ্টি হলেই হুড়হুড় করে জল নামে জয়ন্তী, সংকোশ, তোর্সা, তিতি, বাংরি নদীতে। আর সেই হড়পা বানকে আরও ভয়ঙ্কর করে তোলার পিছনেও দায়ী ভুটান।

সিমেন্ট থেকে খনি, সে দেশের যাবতীয় ফ্যাক্টরির বর্জ্য নেমে আসছে বাংলার নদী হয়েই। বুজে যাচ্ছে নদীখাত। যেমন, মাদারিহাট থেকে টোটোপাড়া যাওয়ার পথে তিতি বাংরি নদী পড়ে। আগে সেই নদীর উপর তৈরি ব্রিজের নীচ দিয়ে ট্রাক যেতে পারত। এখন নদী এমন বুজেছে, জল যায় ব্রিজের উপর দিয়ে!

এই বিষয়ে অধ্যাপক সুবীর সরকার বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হয় তা নয়। পাহাড় কাটার পাথরগুলো ওইখানে ফেলে রেখে দেয়। পরে বৃষ্টির সময় জলের দ্বারা তা বয়ে নীচের দিকে নেমে আসে।’

দায়ী বাংলার প্রশাসনও। কারণ, নদীখাত বুজে যেতে দেখেও সবাই হাত গুটিয়ে বসে। অথচ, ভুটানের বৃষ্টির জলে প্রতিবার ভাসে ডুয়ার্সের নদী। তবু হুঁশ নেই। ভুটান অনেকটাই সর্বনাশ করে দিচ্ছে এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

দেদার বোল্ডার চুরি সূত্রের খবর, ডুয়ার্সের নদীগুলিতে থাকা বড়-বড় পাথর তুলে তা পাচার হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এইগুলো অবৈজ্ঞানিক ভাবে পাচার হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন নদীর জলের গতি নিয়ন্ত্রণ করে পাথর। আর সেই পাথর তুলে তা পাচার হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। অন্যদিক নদীর বুকে গড়ে তোলা হয়েছে মিল। যা পরিবর্তন করে নদীর গতিপথকে। নদী বিশেষজ্ঞ অরূপ গুহ বলেন, ‘নদীর স্বাভাবিকত্ব নেই। নদীতে খাদান হচ্ছে, নদীতে চুরি হচ্ছে মানে নিয়ন্ত্রণ নেই।’

জানা গিয়েছে, নদীগুলির সঠিকভাবে পরিচর্যা হয় না। গ্রেজিং হয় না। যার জেরেক কমেই চলেছে নাব্যতা। এত অনিয়ম হলে বাঁচাবে কে? হড়পার হানায় ডুয়ার্সে যে বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করে নেই, কে বলতে পারে।