ময়নাগুড়ি: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। ব্রিজের রেলিং ভেঙে নদীতে গিয়ে পড়ল ট্রাক। তবে বরাত জোরে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ক্রান্তি ব্লকের ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধরলা ব্রিজে। জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি থেকে একটি যাত্রী বোঝাই ম্যাজিক গাড়ি তালতলার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় সেটি ধরলা ব্রিজের ওপর মাঝ রাস্তায় চলে আসে। এবার উল্টো দিক থেকে চলে আসে একটি ট্রাকও। ম্যাজিকটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে ট্রাকটি ব্রিজের রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।
ঘটনায় টাটা ম্যাজিকটির কোনও যাত্রী সেরকম আহত হয়নি। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ট্রাকের চালক ও সহকারী চালক। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের মাল মহকুমা হাসপাতালে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ ।
এক এলাকাবাসী জানায়, “একটি যাত্রী বোঝাই টাটা ম্যাজিক যাচ্ছিল। সেই সময় মুখোমুখি এসে পড়ে আরও একটি ট্রাক। ছোট গাড়িটিকে বাঁচাতে গিয়েই হয় বিপত্তি। উল্টে যায় গাড়িটি। ঘটনায় আহত হওয়ার তেমন কোনও খবর মেলেনি। ”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দুর্ঘটনার খবর মেলে জেলা থেকে। বেপরোয়া গতির জের। জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাথর বোঝাই লরির পেছনে গাড়ির ধাক্কা। গুরুতর জখম এক। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।
ধূপগুড়ির ঝুমুরের ময়নাতালি এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতলির কাছে এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এ পাথর বোঝাই লরি দাঁড়িয়েছিল। ধূপগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি অভিমুখে আসা একটি পার্সেল গাড়ি দ্রুতগতিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পেছনে ধাক্কা মারে।
বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান সেখানে। তাঁরা দেখতে পান, পাথর বোঝাই লরির পিছনের অংশ একেবারে দুমড়ে গিয়েছে। আর ছোটো গাড়িটির অবস্থা বলার মতো নয়। দুমড়ে মুছড়ে একাকার হয়ে গিয়েছে গাড়িটি। গাড়িটির দরজা ভেঙে ভিতর দিকে ঢুকে গিয়েছে। সেই পার্সেল গাড়ির ভিতরেই আটকে রয়েছেন চালক। তাঁর শরীরটা একেবারের গাড়ির যন্ত্রাংশের সঙ্গে আটকে গিয়েছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় ভিতরেই আটকে থাকেন গাড়িচালক। স্থানীয়রাই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাড়ির ভিতর থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। ইতিমধ্যেই খবর যায় ধূপগুড়ি থানায়। পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির অবস্থায় এতটাই বাজে ছিল, যে চালককে সেখান থেকে উদ্ধার করতে অনেকটাই সময় লেগে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ এক ঘণ্টা পর সেই পার্সেল গাড়ির চালককে গাড়ি থেকে বার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন চালক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।