Jalpaiguri: মেলেনি মিড-ডে মিলের টাকা! স্কুল শিক্ষককদেরই তালা বন্ধ করে দিল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা
jalpaiguri: দু'টি গোষ্ঠী তাদের বরাদ্দ টাকা পেয়েও গেছে। কিন্তু বাকি গোষ্ঠীগুলি টাকা পায়নি।
জলপাইগুড়ি: মিড ডে মিলে রান্না করেই সংসার চলে ওদের। কিন্তু রান্নার পরও টাকা না মেলায় স্কুল শিক্ষককদের তালা বন্ধ করে দিল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মণ্ডলঘাট গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত ব্রাক্ষ্মণ পাড়া কাজী বাড়ি স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়। করোনা কালে গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে মিড ডে মিল তৈরি করছেন স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা।
অভিযোগ সম্প্রতি রান্নার বিল স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে। এরমধ্যে দু’টি গোষ্ঠী তাদের বরাদ্দ টাকা পেয়েও গেছে। কিন্তু বাকি গোষ্ঠীগুলি টাকা পায়নি। অভিযোগ এই বিষয়ে তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা বলেন টাকা আসেনি। এতেই ক্ষুব্ধ হন গোষ্ঠীর সদস্যরা। সমস্যা মেটাতে সোমবার দুপুরে গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে স্কুলে বৈঠক ডাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও সমস্যা না মেটায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের তালাবন্ধ করে দেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।
বিষয়টি জানার পরই ডি আই প্রাইমারি শ্যামল চন্দ্র স্কুল ইন্সপেক্টরকে ওই স্কুলে যাবার নির্দেশ দেন। বলেন, “ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছি”
উল্লেখ্য, এর আগেও মিড-ডে মিল নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। স্কুলে মিড-ডে মিল বিতরণ কালে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, ন্যায্য় পরিমাপের চেয়ে কম পরিমাণ সামগ্রী তাঁদের ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে স্কুলে আসেন প্রধানশিক্ষক-সহ অন্যান্যরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, নিয়ম মেনেই বৃহস্পতিবার মিড-ডে মিলের সামগ্রী অর্থাৎ চাল-ডাল, চিনি, সাবান দেওয়া হচ্ছিল। সেই সময়, অভিভাবকদের সন্দেহ হয়, যা জিনিস দেওয়া হচ্ছে তা মাপে কম। তাঁরা বাইরের একটি দোকানে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বাইরের দোকানে গিয়ে ওজন করান। দেখা যায়, প্রতিটি প্যাকেটেই কমপক্ষে ৫০ গ্রাম সামগ্রী কম রয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ছাপিয়ে গিয়েছে ৫০ গ্রামকেও। মিড-ডে মিল নিতে আসা এক অভিভাবকের কথায়, “আমাদের কোনও মাপ জানানো হয় না। এখানে কোনও ওজন মেশিনও নেই। প্যাকেট করে খালি দিয়ে দেয়। আমরা বুঝতে পারি না চট করে। আজ দোকানে নিয়ে গিয়ে ওজন করাতে হাতেনাতে ধরা পড়ল। অনেক সময়, খারাপ জিনিসও দিয়ে দেয়।” মূলত, চাল-ডাল, আলু, এসব ক্ষেত্রেই পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে সামগ্রী বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
অভিভাবকদের তরফে এমন অভিযোগ পেয়ে ছুটে আসেন প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষকরা। সঙ্গে সঙ্গে বদলে দেওয়া হয় সামগ্রী। বিদ্যালয়ের এক আধিকারিক সাফাইয়ের সুরে বলেন, “আসলে জিনিস কম দেওয়া হয় না। অনেকসময় হয়, যে জিনিস পচা বেরল, তখন হয়ত একটু কম পড়ে। ও তেমন কিছু না। তবে আমরা খবর পাওয়ার পরেই আজ জিনিস বদলে দিয়েছি।” যদিও, এই গোটা ঘটনায় মুখ খোলেনি বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: অধীরদা যাই বলুন, কংগ্রেস দধীচির মতো বলিদান করে তৃণমূলকে গড়েছে