Fire Brokeout Jalpaiguri Hospital: করোনার সব নথি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দাবি বিজেপির

Jalpaiguri: তাদের দাবি করোনা চিকিৎসার জন্য কোটি-কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা লুঠ করেছে হাসপাতালে থাকা তৃণমূলের ক্যাডারবাহিনী দাবি বিজেপির।

Fire Brokeout Jalpaiguri Hospital: করোনার সব নথি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দাবি বিজেপির
জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2022 | 8:15 PM

জলপাইগুড়ি: বুধবার সকাল নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলা ভবনে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বিষয়টি নিয়ে থেমে থাকেনি বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নষ্ট করতেই জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য ভবনে এই আগুন লাগানো হয়েছে।

তাদের দাবি করোনা চিকিৎসার জন্য কোটি-কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা লুঠ করেছে হাসপাতালে থাকা তৃণমূলের ক্যাডারবাহিনী দাবি বিজেপির। তাদের দাবি আর্থিক বছরের শেষ দিনের আগের দিন করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য ভবনে ইচ্ছেকৃত অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। এদিন তিনি নাম না করে উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার (অন স্পেশাল ডিউটি) ডঃ সুশান্ত রায়কে নিশানা করে বলেন, “একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ যাকে করোনার ডাক্তার করা হয়েছে তাঁর নির্দেশে হাসপাতালের কিছু ডাক্তার ও কর্মী  গত দু বছর ধরে হাসপাতালের জন্য পাঠানো কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা লুঠ করেছে। হাসপাতালের ওষুধ থেকে যাবতীয় জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি করেছে। এমনকী হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, যেগুলি দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তার ভুয়ো বিল বানিয়ে সেই টাকা লুঠ করেছে। এখন দেখছে রাজ্যে সিবিআই এসেছে,  যদি তাঁরা ধরা পড়ে যায় সেই কারণে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠাব।”

অন্যদিকে, এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডাক্তার সুশান্ত রায়। তিনি টেলিফোনে জানিয়েছেন, আগুন লেগেছে বাথরুমে। সেখানে কোনও নথি ছিল কি না তা আমার জানা নেই। আর নথি আমার কাছে থাকে না। নথি থাকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে। সঙ্গে কম্পিউটারে নথি থাকে। কম্পিউটার দেখলেই সেগুলি পরিষ্কার হয়ে যাবে।”

এদিন অগ্নিকাণ্ডের পর স্বাস্থ্য ভবন পরিদর্শনে আসেন দমকল বিভাগের ডিভশনাল অফিসার প্রদীপ সরকার। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “আগুন যেখানে লেগেছিল সেখানে কিছু তথ্য ছিল। তা স্বাস্থ্য দফতর জানে। মেয়াদ উত্তীর্ণ অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন সিলিন্ডারগুলিতে অত্যাধুনিক সিস্টেম চালু হয়েছে। সেগুলিতে কবে রিফিল করা হয়েছে তা লেখা থাকলেও আর মেয়াদ লেখা থাকে না। বদলে সেই সিলিন্ডারে সবুজ ও লাল এই দুই দিক নির্দেশ করা থাকে। যদি কাঁটা সবুজ দিকে থাকে তবে বুঝতে হবে সিলিন্ডারের ভিতরে থাকা কেমিক্যালের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি। তাই সিলিন্ডারগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে।”

অন্যদিকে, এই ঘটনায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অসীম হালদার বলেন, “আগুন বাথরুমে লেগেছিল। কোনও নথি সেখানে ছিল না। স্বাস্থ্য দফতরের যাবতীয় নথি ঠিক আছে। যদিও এই দিন আগুন লাগার পর যেই ছবি ধরা পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণ নথি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। তবে সেগুলি কী সংক্রান্ত নথি তা আমরা যাচাই করিনি।” এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা সৈকত চ্যাটার্জী বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে বিজেপির সভাপতি হয়েছিলেন। তবে উনি যে হাসপাতালের স্টক রেজিস্ট্রাটের চাকরি পেয়েছেন তা জানা ছিল না। আসলে ছাগল দিয়ে হাল চাষ হয় না। এখন বিজেপির অবস্থা ঠিক এমন হয়েছে। যে কোনও সরকারি জায়গায় ভয়াবহ আগুন লাগলে তার তদন্ত হয়। এখানেও হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: Arambag Chaos: লাঠি-বাঁশ নিয়ে বেধড়ক পরাজিত নির্দল প্রার্থীকে, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা