Higher Secondary Result: সারাক্ষণ ফেসবুক করলে পাশ করা যায়! পথচারীর ‘প্রতিবাদে’ তেড়ে গেলেন ফেল করা ছাত্রীরা

Jalpaiguri: রাস্তা অবরোধ করে দাবি জানাচ্ছেন, তাঁদের পাশ করিয়ে দিতে হবে। তবে কী উপায়ে, কারা তাঁদের পাশ করাবে, সে ব্যাপারে কিছু জানেন না। জানতে চানও না।

Higher Secondary Result: সারাক্ষণ ফেসবুক করলে পাশ করা যায়! পথচারীর 'প্রতিবাদে' তেড়ে গেলেন ফেল করা ছাত্রীরা
পাশ করানোর দাবিতে অবরোধ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 7:54 PM

জলপাইগুড়ি: উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখেন। এক এক জন এক পেশায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। কিন্তু যে গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে ঢোকার ছাড়পত্র মেলে সেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা তাঁরা পাশ করতে পারেননি। কিন্তু রাস্তা অবরোধ করে দাবি জানাচ্ছেন, তাঁদের পাশ করিয়ে দিতে হবে। তবে কী উপায়ে, কারা তাঁদের পাশ করাবে, সে ব্যাপারে কিছু জানেন না। জানতে চানও না। এমনকি যে পরীক্ষায় তাঁরা বসেছিলেন, সেই (Higher Secondary) পরীক্ষার বানানও সঠিক বলতে পারেননি। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই। উল্টে অবরোধের প্রতিবাদ করায় পথচারীকে মারমুখী ভঙ্গিতে ঘিরে ধরে হেনস্থা করতে উদ্যত হল ছাত্রীর দল। সোমবার বিকালে এ রকমই ঘটনার সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দারা। সৌজন্যে উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা জলপাইগুড়ি কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের এক দল ছাত্রী।

জলপাইগুড়ি কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের এক দল ছাত্রীর উচ্চ মাধ্যমিকে সফল হতে পারেননি। তাঁদের অভিযোগ, “পরীক্ষা ভাল হলেও নম্বর এসেছে কম।“ খুব ভাল না হলেও ফেল করার মতো খারাপ পরীক্ষাও হয়নি তাঁদের। তাই সোমবার বিকালে জলপাইগুড়ির কদমতলা মোড় অবরোধ করে তাঁরা পাশ করানোর দাবি জানান। অবরোধকারী পরীক্ষার্থীদের মুখে শোনা গিয়েছে, “যে করেই হোক আমাদের পাশ করাতে হবে।“ এর মধ্য়েই এক সাংবাদিক ওই ছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা কী পরীক্ষায় ফেল করেছেন। সেই প্রশ্নের জবাবে ছাত্রীরা বলেন, হায়ার সেকেন্ডারি (Higher Secondary)। তখন ওই সাংবাদিক তাঁদের জিজ্ঞাসা করেন, উচ্চ মাধ্যমিকের বানান। ২ বারের চেষ্টাতেও সেই বানান সঠিক বলতে পারেননি পাশের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা।

এই অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জেরে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়া পথচারীরাও অসফল ছাত্রীদের এই দাবিতে অসন্তুষ্ট। অবরোধের আটকে পড়ে মেজাজ হারান এক ব্যক্তি। তিনি অসফল ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, “পড়াশোনা আমরাও করেছি। ফেলও করেছি। কিন্তু তোমাদের মতো রাস্তা অবরোধ করে মানুষের অসুবিধা করিনি। মানুষের অসুবিধা না করে পড়াশোনা কর।” এর পর ওই ব্যক্তি মন্তব্য করেন, “সারাক্ষণ ফেসবুক আর ইউটিউব করলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করা যায় না।” এই মন্তব্যের পরই ঝাঁঝিয়ে ওঠেন ওই ছাত্রীর দল। তেড়ে ফুড়ে ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে ঝগড়া শুরু করে দেন। যার জেরে রীতিমতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কদমতলায়। ইতিমধ্যে পুলিশও এসে উপস্থিত হয়েছিল সেখানে। তাঁরা ছাত্রীদের সরিয়ে অবরোধ উঠিয়ে দেন।