Malbazar Flash Flood: মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরি, তবু বেতন পাচ্ছেন না মালবাজারের নিহতের মেয়ে
Jalpaiguri: নিয়োগের একমাস পর মাল বিডিও অফিস থেকে ৯ হাজারের মতো টাকা চেক মারফত দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে আর বেতন দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
জলপাইগুড়ি (ধূপগুড়ি): মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন চাকরি দিতে। সেইমতো চাকরি পেয়েছেন মাল এলাকার অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য। তবে চাকরি পেলেও নিয়োগপত্র না পাওয়ার পাশাপাশি বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুললেন তাঁরা। ৫ অক্টোবর দশমীর রাতে মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বানে (Malbazar Flash Flood) মারা গিয়েছিলেন ৮ জন। সেই তালিকায় ছিল মাল পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তপন অধিকারী এবং তাঁর ভাইপো। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর নিহতদের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তপন অধিকারীর পরিবারের সদস্য চাকরি পাবেন বলেও আশ্বাস দেন। সেইমতো পরিবারের দু’জন চাকরি পান মালবাজার বিডিও অফিসে। তবে কাজ পেলেও বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এই অভিযোগকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শ্রম চুরির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির মাল বিধানসভার আহ্বায়ক রাকেশ নন্দী। তবে বিডিওর বক্তব্য, কাগজপত্রের কিছু সমস্যা থাকার কারণে বেতনসংক্রান্ত সমস্যা হচ্ছে। তবে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রায় তিন মাস আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো মালবাজার বিডিও অফিসে কাজে যোগ দেন শ্রীপর্ণা অধিকারী ও শ্রেয়সী অধিকারী। তপন অধিকারীর ছেলে তুহিনাদ্রি অধিকারী অভিযোগ করেন, তিনমাস ধরে কাজ করছেন দুই বোন। অথচ এখনও বেতন পাননি। এমনকী চাকরি যে করছেন, নেই তার কোনও কাগজও। তুহিনাদ্রির অভিযোগ, তিনমাস আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চাকরি পান তাঁর বোন ও তাঁর কাকার মেয়ে।
নিয়োগের একমাস পর মাল বিডিও অফিস থেকে ৯ হাজারের মতো টাকা চেক মারফত দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে আর বেতন দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। মালবাজারের বিডিও শুভজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, কাগজপত্রের কিছু সমস্যার জন্য তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। তবে অন্যভাবে তাদের আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। খুব দ্রুত তাঁরা বেতন পাবেন, সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে।