জলপাইগুড়ি: হেরে গেলেন বাম আমলের দুই চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে জমানত বাজেয়াপ্ত হল পাঁচ বাম প্রার্থীর। একদা লালদুর্গ বলে পরিচিত ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের পুরভোটে হেরে গেলেন দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা হেভিওয়েট নেতা। একইসঙ্গে পাঁচ বাম প্রার্থীর জমানতও জব্দ হয়েছে এবারের পুরভোটে। একইসঙ্গে এবার মাল পুরসভা থেকে একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বাম-কংগ্রেস।
প্রায় ৩২ বছরের পুরনো মাল পুরসভা। এই কয়েক বছরে একাধিকবার মাল পুরসভায় শাসক বদল হয়েছে। কখনও বামেরা মসনদে বসেছে, কখনও আবার বিরোধী হিসাবে থেকেছে। কিন্তু অস্তিত্বহীন হতে হয়নি। ১৯৯০ সালে পুরসভা তৈরি হওয়ার পর টানা ন’ বছর বামেদের হাতে ছিল ক্ষমতা। এরপর ১৯৯৯ সালে প্রথম কংগ্রেসের নিরঞ্জন দাস চেয়ারম্যান হন। কিন্তু মাত্র আড়াই বছরের মাথায় আস্থা ভোটে হেরে যান।
চেয়ারম্যান হন সিপিএমের পার্থ দাস। ২০০৪ সালে আবার কংগ্রেসের সুলেখা ঘোষ চেয়ারপার্সন হন। ২০০৯ সালে ফের সিপিএম সমর্থিত নির্দল হিসাবে জেতা সুপ্রতিম সরকার চেয়ারম্যান হয়। ২০১৪ সালে প্রথম তৃণমূলের স্বপন সাহা চেয়ারম্যান হয়ে বিদায়ী বোর্ডের নেতৃত্ব দেন। এবারও সিপিএমের প্রতীকে প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান পার্থ দাস ও সুপ্রতিম সরকার প্রার্থী হন।
সিপিএমের অজেয় গড় হিসাবে চিহ্নিত শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন সিপিএমের সুপ্রতিম সরকার। দলের তো আশা ছিলই, অনেকেই ভেবেছিলেন ফের লাল নিশান উড়বে ওয়ার্ডে। কিন্তু তা হল না! মাত্র ৫৪ ভোটে হেরে গেলেন তৃণমূলের তরুণ প্রার্থী অমিতাভ ঘোষের কাছে। সূত্রের খবর, জনতার রায় সামনে আসার পরই গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান সুপ্রতিমবাবু।
অন্যদিকে সিপিএমের প্রাক্তন এরিয়া কমিটির সম্পাদক একসময়ের পুর চেয়ারম্যান পার্থ দাসও এবার সিপিএমের দুর্গ ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হন। তাঁকে হারতে হয় তৃণমূলের তরুণ প্রার্থী অজয় লোহারের কাছে। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর হারের সঙ্গে সঙ্গে বামেদের পাঁচ প্রার্থীর জমানতও জব্দ হয়। মোট ১৫ ওয়ার্ডের মাল পুরসভায় ১৪টি পেয়েছে তৃণমূল, ১টিতে জয় হয়েছে বিজেপির।
আরও পড়ুন: Contai Municipality: চার দশকের ‘অধিকারী মিথ’ ভাঙল কাঁথিতে, এগরা তবু মান বাঁচাল খানিক…
আরও পড়ুন: CM Mamata Banerjee: ‘প্রয়োজনে যুদ্ধেও যেতে তৈরি’, বারাণসী যাওয়ার আগে বললেন মমতা