জলপাইগুড়ি: রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন যুবক। এরপর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি। শনিবার সকালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হল মৃতদেহ (Body Recover)। একটি মাঠে দেহটি পাওয়া যায়। হাঁটু মুড়ে বসা অবস্থায় ছিল দেহটি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ধূপগুড়িতে (Dhupguri)। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, আদৌ এটা আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে পরিবারের লোকজনের মধ্যে। ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং-২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বারহালিয়া গ্রাম। সেখানেই এদিন সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত ওই যুবকের নাম মদন সরকার। তিনি ফালাকাটা ব্লকের নটাহাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার তদন্তব শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে এক মহিলা মাঠে গিয়েছিলেন। তিনিই প্রথম এই বীভৎস দৃশ্য দেখতে পান। এক যুবক গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় হাঁটু মুড়ে বসে রয়েছেন। তিনিই চিৎকার করে এলাকার লোকজনকে ডেকে আনেন। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। ছেলেটি এলাকার নয়, স্থানীয়রা তেমনই দাবি করেন। এরপরই খবর পৌঁছয় ডুডুয়া নদীর ওপারে নটাহাড়ায়।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন মদনের বাড়ির লোকজন। মৃতের ভাই ভানু সরকার বলেন, “শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল ও। তারপর এই ঘটনা। বাড়িতে কোনও সমস্যাও ছিল না। জানি না কেন এটা ঘটল। কী হয়েছিল ওর মনে কে জানে। কেউ মেরে ফেলে রেখে গেল নাকি ও নিজেকেই শেষ করে দিল বুঝতেই পারছি না।”
আরও পড়ুন: Canning incident: শাশুড়ির রাখা বোতলেরও জায়গা হচ্ছে না, সম্পত্তি লোভে বাবাকেই তুমুল মার
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ‘শুধু ভাদু-আনারুলের লড়াই নয়, গোটা তৃণমূল জড়িত’! বগটুইকান্ডে সুর চড়ালেন শমীক