Madhyamik Student: অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে বাড়িতে এসেই আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, নেপথ্যে কী কারণ?

বরাবর ক্লাসের প্রথম স্থানাধিকারী এই ছাত্রী মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড হাতে নিয়েই কেন আত্মঘাতী হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

Madhyamik Student: অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে বাড়িতে এসেই আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, নেপথ্যে কী কারণ?
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2023 | 8:52 PM

তপন: স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে বাড়ি ফিরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Madhyamik Student)। দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার তপন থানার সাদুল্লাপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বরাবর ক্লাসের প্রথম স্থানাধিকারী এই ছাত্রী মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড হাতে নিয়েই কেন আত্মঘাতী হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ঝর্ণা বান্ডো(১৯)। সাদুল্লাপুরের বাসিন্দা ঝর্ণা বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কেন আত্মঘাতী হয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝর্ণার বাবা বছর খানের আগে মারা গিয়েছেন। মা ও বোনের সঙ্গে সাদুল্লাপুরে বাড়িতে থাকত ঝর্ণা। ছোট থেকেই সে পড়াশোনায় ভাল। তপনেত বানিয়াল হাই স্কুলের ছাত্রী প্রতি বছর ক্লাসে প্রথম হত। মাধ্যমিমের টেস্ট পরীক্ষায় সে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। তার আগে বুধবার স্কুল থেকে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে আসার পরই সে আত্মঘাতী হয়। কেন ঝর্ণা আত্মঘাতী হল, সে ব্যাপারে ধন্দে তার পরিবার থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মেধাবী ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই এদিন ঝর্ণা বাড়ি যান তপনেত বানিয়াল হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

এদিকে বাড়ি আসার কিছু পরেই বাড়িতে আত্মঘাতী হয় সে। মা সেই সময় মাঠে কাজ করছিল। এদিকে বিষয়টি নজরে আসে গতকাল সন্ধ্যায়। জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এদিকে বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানতে পেরেই স্কুলের একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা ঝর্ণার বাড়ি যায়। তার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তারা৷ তবে কি জন্য ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী হল তা নিয়ে ধন্দে পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।

বানিয়াল স্কুলের শিক্ষক মাইকেল গাওয়া ঝর্ণার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার কারণ নিয়ে সন্দেহ ব্যক্ত করেছেন। ঝর্ণার মধ্যে কখনও অস্বাভাবিক কিছু কেউই লক্ষ্য করেননি বলে জানান তিনি। একইভাবে ঝর্ণা কেন এরকম করল, সে বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তার আত্মীয় বিপ্লব লাকরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ঝর্ণার মা, বোন। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তপন থানার পুলিশ জানিয়েছে।