Malda: সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘দাদাগিরি’, হাজার টাকা না দেওয়ায় মেরে পা ভাঙল টোটো চালকের
Malda Civic Volunteer: অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আক্রান্তের পরিবারও। সঞ্জয় সাহার ছেলে সুজিত সাহা বলেন, "বেআইনিভাবে হাজার টাকা চেয়েছিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। না দেওয়াতেই মারধর করেন। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।"

মালদহ: ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাগিরি। টোটো চালকের কাছে হাজার টাকা দাবি। না দেওয়ায় টোটো চালককে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কালিয়াচক থানায়। আক্রান্ত টোটো চালক সঞ্জয় সাহাকে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ডান পা ভেঙেছে। শরীরেও আঘাত লেগেছে। আক্রান্ত টোটো চালকের বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার সব্দলপুর এলাকায়।
আক্রান্ত টোটো চালকের অভিযোগ, দুবরি মোড় থেকে গোলাপগঞ্জ স্ট্যান্ডে যাত্রী নামিয়ে দোকানের কিছু জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় গোলাপগঞ্জ স্ট্যান্ড থেকে ৫০ মিটার দূরে তাঁর টোটো আটকান এক সিভিক ভলান্টিয়ার। টোটোর চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপর ওই টোটো চালকের কাছে হাজার টাকা দাবি করেন কালিয়াচক থানায় কর্মরত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনার পর ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আক্রান্তের পরিবারও। সঞ্জয় সাহার ছেলে সুজিত সাহা বলেন, “বেআইনিভাবে হাজার টাকা চেয়েছিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। না দেওয়াতেই মারধর করেন। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
তবে এই বিষয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের কোনও বন্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হবে। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির মালদহ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সিভিক ভলান্টিয়ারদের রেখেছে টাকা তোলার জন্য। সিভিক ভলান্টিয়াররা হল তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। অনেক থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেখলে মনে হবে তাঁরা যেন পুলিশ সুপার। পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তাই কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
