AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Head Mistress Arrest: সই জাল করে লোন! প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গ্রেফতার

Malda School: অভিযুক্ত সুলতানা খাতুনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি সহ মোট পাঁচটি ধারায় মামলা রুজু করে। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা মাস। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা।

Head Mistress Arrest: সই জাল করে লোন! প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গ্রেফতার
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2025 | 5:35 PM
Share

মালদহ: গ্রেফতার প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এসআই তথা স্কুল ইন্সপেক্টরের সই, সিল জাল করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে গৃহঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বলে অভিযোগ ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ধৃত ‘মানিকচক ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র প্রধান শিক্ষিকার নাম সুলতানা খাতুন। মানিকচকের এনায়েতপুরের বাসিন্দা তিনি। বাড়ি থেকে প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা খাতুনকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ।

মানিকচক এক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সুলতানা খাতুনের বিরুদ্ধে। গত বছরের ৯ নভেম্বর এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা খাতুনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় এফআইআর দায়ের করেন মানিকচক এক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্চয়িতা মণ্ডল। বেশ কয়েকমাস আগেই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে মালদহ জেলা আদালত। তবে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনও অজানা কারণে এতদিন পর্যন্ত অধরাই থেকে যান প্রধান শিক্ষিকা।

এমনকী অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত সুলতানা খাতুনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ মালদহ ডিপিএসসি-এর বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত আদালতের কড়া নির্দেশে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হল।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বর মাসে মানিকচক থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বা এসআই। গত বছরের নভেম্বর মাসে সুলতানা খাতুন এনায়েতপুরের একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে গৃহ ঋণের জন্য আবেদন করেন। গৃহঋণের সেই আবেদন পত্রে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সিল সহ স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু গৃহঋণের আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি সঞ্চয়িতা মণ্ডল। এরপরই সই জাল করা হয় বলে অভিযোগ।

ব্যাঙ্ক মারফত বিষয়টি জানতে পারেন এসআই। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মানিকচক থানার পুলিশ অভিযুক্ত সুলতানা খাতুনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি সহ মোট পাঁচটি ধারায় মামলা রুজু করে। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা মাস। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা। গ্রেফতারি তো দূর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। দীর্ঘ ১০ মাস পর আদালতের কড়া নির্দেশে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হল।