Malda: ‘প্রতি ট্রাক্টর পিছু ১০০ টাকা’, বালি পাচারে নাম জড়ালো আরও এক তৃণমূল নেতার
Sand Smuggling: অভিযোগ অস্বীকার করে রতুয়া-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাজু সিংহ বলেন,"আমাদের কাহালা আসুটোলা থেকে বাহারাল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। ফুলহর নদী সংলগ্ন এলাকায় জমিতে প্রচুর পরিমাণে বালি জমে যায়। এর ফলে জমির মালিকরা চাষবাস করতে পারে না।"

মালদহ: উত্তরবঙ্গ থেকে একাধিকবার বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, সেই পাচারে বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্তের শিকারও হতে হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের। এবার ফের দিনে দুপুরে নদী থেকে বালি তুলে পাচারের অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগে নাম জড়ালো এক তৃণমূল নেতার। উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন বালি পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বিভিন্ন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু বরাবরই সেই অভিযোগ খন্ডন করেছেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, রাজু সিংহ নামে ওই তৃণমূল নেতা তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহর রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর ঘাটের ফুলহর নদীতে। জানা যাচ্ছে, নদীর বুক থেকে খনন করা হচ্ছিল বালি। সেই বালি ট্র্যাক্টরে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র। অভিযোগ, পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা। তবে সেই তৃণমূল নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে কাহালার স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সিন্টু বলেন,”বিগত কয়েকদিন ধরে ফুলহর নদী থেকে বালি খনন করা হচ্ছে। প্রায় ৮-১০ ফিট গর্ত করে বালি খনন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পাশেই রয়েছে আর্সেনিক জলের প্লান্ট এবং নদী বাঁধ। দুটোই ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূল নেতা রাজু সিংহ ট্রলি পিছু ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে রতুয়া-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাজু সিংহ বলেন,”আমাদের কাহালা আসুটোলা থেকে বাহারাল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। ফুলহর নদী সংলগ্ন এলাকায় জমিতে প্রচুর পরিমাণে বালি জমে যায়। এর ফলে জমির মালিকরা চাষবাস করতে পারে না। সেই জমির উপরের বালি অংশটা তাঁদেরকে কেটে ফেলতে হয়। এই পথশ্রী প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জমির মালিকের কাছে ন্যায্যমূল্য দিয়ে এবং সরকারি খাজনা কেটে বালি কিনে নিচ্ছেন। আমি কোনওভাবেই এই কাজে যুক্ত নই। কারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তা আমার জানা নেই। এতে অন্য দলের উস্কানি থাকতে পারে তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য।”

রাজু সিংহ, এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
রতুয়া-১ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সৌমিত্র কুমার বলেন,”মাটি কাটার পূর্বে নির্ধারিত একদিন আগে ভূমি ও ভূমি দফতরে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে জমির মালিকের সম্মতিপত্র এবং যেখান থেকে মাটি তোলা হবে এবং যেখানে মাটি ফেলা হবে উক্ত জমির তফসিল। এখন অনলাইনের মাধ্যমে চালান কাটতে হয়। তবে আমাদের কাছে বালি কাটার জন্য কাহালা অঞ্চল থেকে কোনও আবেদন জমা পড়েনি। নদী, ব্রিজ এবং বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে কোনওমতেই বালি এবং মাটি খনন করা যাবে না। এটা আইনত অপরাধ। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”





