Maldah: ‘…চাইলে এমনিই দিতে দিতাম’, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরই মেয়ের সঙ্গে জঘন্য অপরাধ দুই ব্যবসায়ীর, তদন্তে নেমে তাজ্জব পুলিশও

Maldah: শনিবারের ঘটনা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সালালপুরের একটি অপহরণের ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। চুল ব্যবসায়ী শেখ রাজুর সাত বছরের শিশু কন্যাকে বাড়ির সামনে থেকে বাইকে করে ফিল্মি কায়দায় অপহরণের অভিযোগ ওঠে।

Maldah: '...চাইলে এমনিই দিতে দিতাম', ঘনিষ্ঠ বন্ধুরই মেয়ের সঙ্গে জঘন্য অপরাধ দুই ব্যবসায়ীর, তদন্তে নেমে তাজ্জব পুলিশও
ব্য়বসায়ীর কোলে নাবালিকা Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2024 | 4:40 PM

মালদহ: বন্ধু হয়ে বন্ধুর পিঠে ছুরি। ব্যবসা শুরুর জন্য টাকার প্রয়োজনে বন্ধুর মেয়েকে অপহরণ, মুক্তিপণে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা! মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর অপহরণ কাণ্ডে তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল পুলিশ। কাঠগড়ায় নাবালিকারই বাবার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু।  পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের পরিকল্পনা ছিল বন্ধুর মেয়েকে অপহরণ করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ,  ক্লোরোফর্ম, মুখ বাধার টেপ।  এদিন ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।

শনিবারের ঘটনা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সালালপুরের একটি অপহরণের ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। চুল ব্যবসায়ী শেখ রাজুর সাত বছরের শিশু কন্যাকে বাড়ির সামনে থেকে বাইকে করে ফিল্মি কায়দায় অপহরণের অভিযোগ ওঠে। তারপরেই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে দ্রুতগতিতে ময়দানে নেমে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি।

পুলিশের হাতে ছিল শুধুমাত্র একটি সিসিটিভি ফুটেজ। কিন্তু তারপরেই বাড়িতে ফোন মুক্তিপণের জন্য। সেখান থেকেই ট্রেস করে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘি চেকপোস্ট থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দুই দুষ্কৃতীকে। এমনকি পুলিশকে দেখে নাবালিকাকে মোটরবাইক থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। যার কারণে সাত বছরের ওই শিশু কন্যা মাথায় এবং পায়ে চোট পায়।

অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ছানবিন করতে থাকে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের পরিচয় সামনে আসতেই তাজ্জব হয়ে যায় পরিবার। পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারাও। পুলিশ জানতে পারে, অপহরণকারীরা হলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার গাংনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলম এবং এজাজ আহমেদ। তাঁরাই নাবালিকার বাবা শেখ রাজুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নিত্য যাতায়াত ছিল তাঁদের বাড়িতে। মনসুর আলম পেশায় মৌরিল। তিনি শেখ রাজুর সমস্ত জমি জায়গার কাজ করতেন। আর এজাজ আহমেদ ওষুধ ব্যবসায়ী। তাঁর দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত ওষুধ নিতেন শেখ রাজু।

ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, এই দুইজন পরিকল্পনা করে ছিলেন একটি ব্যবসা শুরু করার। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন ছিল টাকার। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে লোনের জন্য  আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু গৃহীত হয়নি। তারপরেই এই পরিকল্পনা। শেখ রাজুর আক্ষেপ, “বন্ধুরা যদি টাকা ধার চাইত, এমনিতেই দিয়ে দিতাম। তা বলে আমার মেয়েটাকেই টার্গেট করল।” দুই বন্ধুর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শেখ রাজু।