Gazole Minor Harassment: ‘খোলাখুলিভাবে পকসো আইন অমান্য করা হচ্ছে, গুন্ডাগিরি চলছে’, গাজোল গণধর্ষণ কাণ্ডে বিস্ফোরক কানুনগো

Gazole Minor Harassment: জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যেতেই শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় রাজ্যে শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে।

Gazole Minor Harassment: ‘খোলাখুলিভাবে পকসো আইন অমান্য করা হচ্ছে, গুন্ডাগিরি চলছে’, গাজোল গণধর্ষণ কাণ্ডে বিস্ফোরক কানুনগো
প্রিয়ঙ্ক কানুনগো, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2023 | 2:20 PM

মালদা: তিলজলার পর এবার মালদা। দিল্লির তদন্তে পদে-পদে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কমিশনের পরিদর্শন ঘিরে মালদার গাজোল তুলকালাম। কয়েক দিন আগে স্কুল ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান এনসিপিসিআর( NCPCR) দলের প্রতিনিধিরা। এদিনই গাজোলে পৌঁছয় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যেতেই শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় রাজ্যে শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো বলেন, “আমরা তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা যে চিকিৎসক করেছিলেন সেই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে যে চিকিৎসক ঘটনার সময়ে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা বলানো হয়নি। আমরা জানতে পেরেছি ঘটনার পর শিশুটির মা স্কুলের শিক্ষককের সঙ্গে কথা বলেন। তবে শিক্ষক তাঁকে উত্তর দেন যে দু’দিন পর এই বিষয়ে কথা বলতে বলেন। এরপর ওই শিক্ষক স্কুলে আর আসেনি। আমরা আজ ওই শিশুর বাড়িতে পৌঁছই। কথা হয় ওদের সঙ্গে। ওরা বারবার বলছে আমাদের সুরক্ষার প্রয়োজন। এই এলাকায় অনেকের বাড়িতেই সুলভ শৌচালয় নেই। তাই বাথরুমের জন্য বাইরে যেতে হয় ওদের। এখানেই শিশুটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।”

প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর বক্তব্য, “আমরা রিপোর্টে উল্লেখ করব যাতে ওই শিশুটি ঘর পায়, শৌচালয় পায় সর্বোপরি তাকে যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। আমরা যা জানলাম, এখনও অবধি ওই এলাকা সিল করা হয়নি। ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা করা হয়নি। এমনকী ধর্ষণের নমুনা সংগ্রহের জন্য ফরেন্সিকদলের কাছে গ্লালভস পর্যন্ত নেই। তিলজলার পর গাজোলেও দেখলাম একই অবস্থা। ঘটনার কোনও প্রমাণ সংরক্ষণ করা হয়নি। একদম খোলাখুলিভাবে পকসো আইনকে এখানে অমান্য করা হচ্ছে। সেই কারণে এই শিশুটির বয়ানই আমাদের এখন ভরসা যাতে অভিযুক্ত উচিত শাস্তি পায়।”

তিনি আরও বলেন, “শিশুটিকে কাউন্সিলিং করার যে জন্য যে ব্যক্তি আসছেন তাঁর কাছে আরও ১০ থেকে ১২টি শিশুও আসছে। যে সাপোর্ট ওর প্রয়োজন তা ওকে দেওয়া হচ্ছে না। কোনও উকিল দেওয়া হয়নি। আমরা এই সব খামতি আমাদের রিপোর্টে তুলে ধরব। কেন্দ্রীয় সরকারকেও বলব। এখানে গুন্ডাগিরি চরমে। নির্যাতিতার শিশুর সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না। স্কুলের শিক্ষককের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না। স্কুলের অবস্থাও জঘন্য। বাচ্চাটির মা এও বলল যে এই ঘটনার ভিডিয়োও রেকর্ড করা হয়েছে।”

রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, “আমি হয়ত আসিনি। আমি যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলাম। এখানে অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে, মেয়েটিকে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে, ওর কাউন্সিলিং চলছে। আমরা জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে সাহায্য করতে এসেছি। কিন্তু ওরা সেই সহযোগিতা নিতে চান না। ওদের মতে কিছু লুকানোর রয়েছে। তবে আমরা কিছুই লুকোচ্ছি না।”

এ দিন এক গ্রামবাসী বলেন, “ঘটনা ঘটে যাওয়ার পনেরো দিন পর রাজ্য সরকারের ঘুম ভেঙেছে। আজ যখন কেন্দ্রীয় টিম এসেছে তখন রাজ্য সুরক্ষা কমিশন ঘুম ভেঙে এখানে এসেছে।”