AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: জলের আর এক নাম ‘মৃত্যু’- প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ দিচ্ছে মালদহের ভূতনি

Flood in Malda: বিষাক্ত সাপ ও মানুষকে কার্যত একসঙ্গে বাস করতে হচ্ছে। জলের নিচে টিউবয়েল। জলের নিচে শৌচালয়। ফলে দু'মাস ধরে নোংরা জমা জলই পানীয় জল হিসেবে পান করতে হচ্ছে। সেই জমা জল আর শুখনো খাবার খেয়ে প্রায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে জলবন্দি মানুষের।

Malda: জলের আর এক নাম 'মৃত্যু'- প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ দিচ্ছে মালদহের ভূতনি
বন্যা বিধ্বস্ত মালদহের ভূতনিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2025 | 5:40 PM
Share

মালদহ: বাড়িতে বন্যার জল ঢুকেছে। বিছানা থেকে সেই জলে পড়েই একদিন আগে মৃত্যু হয়েছে বছর দেড়েকের এক শিশুর। তারপরই মালদহের ভূতনির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শোরগোল পড়েছে। কেমনভাবে দিন কাটছে সেখানকার মানুষের? প্রশাসনের কাছ থেকে কি কোনও সাহায্য পেয়েছেন? এইসব প্রশ্নের উত্তরে ক্ষোভ উগরে দিলেন বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। কী বলছেন তাঁরা?

ভূতনির উত্তর চণ্ডীপুর, দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম, পশ্চিম রতনপুর পঞ্চায়েতের হিরানন্দপুর, শঙ্করীটোলা, শিখরপুর-সহ বহু গ্রাম জলের তলায়। প্রায় ২ লক্ষ মানুষ জলবন্দি। ছাদে বসবাস করতে হচ্ছে। সেখানেই খাওয়া। প্রাতঃকৃত করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের মধ্যে, আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষাক্ত সাপ। যেকোনও মুহূর্তে সাপের ছোবল খেতে হতে পারে। শঙ্কুরপুরের একটি পরিবারের বাবা ও ছেলে সাপের ছোবল খেয়েছেন। কোনওরকমে বেঁচেছেন তাঁরা।

Malda Flood Situation

বন্যার জলে সাপের উপদ্রব বেড়েছে

বিষাক্ত সাপ ও মানুষকে কার্যত একসঙ্গে বাস করতে হচ্ছে। জলের নিচে টিউবয়েল। জলের নিচে শৌচালয়। ফলে দু’মাস ধরে নোংরা জমা জলই পানীয় জল হিসেবে পান করতে হচ্ছে। সেই জমা জল আর শুখনো খাবার খেয়ে প্রায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে জলবন্দি মানুষের। ঘরে ঘরে জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। অথচ ওষুধ পাচ্ছেন না তাঁরা। বন্যার জলে পড়ে তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল ঘরে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকার সময় জলে পড়ে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

Malda Flood Situation

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, বাড়ির ছাদে কোনওরকমে দিন কাটছে তাঁদের। কিন্তু, প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। খাবার, ওষুধ কিছু পাননি। ত্রাণের ত্রিপলও নেতারা চুরি করে নিয়েছেন বলে তাঁদের অভিযোগ। কিন্তু এভাবে কতদিন কাটবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে ভূতনিতে।