Malda: রাস্তার এমন দশা যে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স! খাটিয়া করে হাসপাতালে গেলেন রোগী

Malda: মালদার হবিবপুর ব্লকের হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিস্তর পাড়া গ্রাম। মিস্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা কানু হেমব্রম হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসহ্য পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন টোটোওয়ালাকে ফোনও করেন পরিবারের সদস্যরা বলে।

Malda: রাস্তার এমন দশা যে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স! খাটিয়া করে হাসপাতালে গেলেন রোগী
মালদহে খাটিয়া করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোগীকেImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2024 | 10:53 PM

মালদহ: আবার খাটিয়া। মুমূর্ষ রোগীকে খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ছবি এল সামনে। বেহাল রাস্তায় ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স। গাড়ি এমনকী ঢোকে না টোটো। গতবছরেই মালদার বামোনগোলার প্রত্যন্ত গ্রামে এভাবেই খাটিয়া করে মামনী রায় নামে এক গৃহবধূকে নিয়ে যেতে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এবারের ঘটনা হবিবপুরে।

মালদার হবিবপুর ব্লকের হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিস্তর পাড়া গ্রাম। মিস্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা কানু হেমব্রম হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসহ্য পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন টোটোওয়ালাকে ফোনও করেন পরিবারের সদস্যরা বলে। কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে ওই গ্রামে যেতে কেউ রাজি হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপর বেগতিক দেখে খাটিয়া করেই ওই প্রৌঢ়কে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। গ্রামবাসী বলেন, “আমাদের এখানে রাস্তার যা অবস্থা তাতে না ঢোকে টোটো। না অ্যাম্বুলেন্স। না কিছু। বাধ্য হয়েই রোগীকে খাটিয়ায় করে নিয়ে যেতে হয়। এখন কষ্ট করে করে নিয়ে যাওয়া হয়।”

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনও দিনই এই এলাকায় রাস্তা হয়নি। তাই বেহাল অবস্থায় রয়েছে এলাকার যাতায়াতের একমাত্র পথ। বর্ষাকালে যা আরও খারাপ হয়ে যায় বলে দাবি। সেই কারণে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স তো দুর অস্ত টোটো ঢোকে না। তাই রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় খাটিয়ায় করে। বারবার বিভিন্ন জন প্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। গ্রাম প্রধান জানিয়েছেন, “আমি জানতে পেরেছি সদস্যের মাধ্যমে রাস্তা খারাপ। রাস্তার জন্য যা করার সব চেষ্টা করছি। তবে খাটিয়া করে রোগী নিয়ে যেতে হচ্ছে এটা দুঃখজনক ঘটনা। আমি চেষ্টা করছি দ্রুত যাতে রাস্তাটা করা যায়।”