Ration Card: হাজারের বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড দিয়ে তোলা হয় কোটি কোটি টাকার চাল-ডাল! ৮ বছর পর নজরে এল খাদ্য দফতরের

Ration Card: মালদহ জেলার খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক হাজারের বেশি ভুয়ো বা জাল রেশন কার্ড ছাপিয়ে দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে রেশন তোলা হচ্ছিল। তারপর সে সব জিনিস কালোবাজারে বিক্রি করা হত।

Ration Card: হাজারের বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড দিয়ে তোলা হয় কোটি কোটি টাকার চাল-ডাল! ৮ বছর পর নজরে এল খাদ্য দফতরের
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2024 | 6:02 PM

মালদহ: রেশন ডিলার তথা প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হাজারের বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করার অভিযোগ উঠল মালদহে। শুধু তাই নয়, আট বছর ধরে ওইসব রেশন কার্ড থেকে কোটি কোটি টাকার দ্রব্য তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বাংলাদেশের সঙ্গেও লেনদেন হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করল খাদ্য সরবরাহ দফতর। প্রায় আট কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদহের কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকে রেশন ডিলার ছিলেন আশরাফুল ইসলাম। বৈষ্ণবনগর থানা এলাকারা সাহবানচক পঞ্চায়েতের মালতীপুরের বাসিন্দা তিনি। মালদহ জেলার খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক হাজারের বেশি ভুয়ো বা জাল রেশন কার্ড ছাপিয়ে দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে রেশন তোলা হচ্ছিল। তারপর সে সব জিনিস কালোবাজারে বিক্রি করা হত।

২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই কারবার চলেছে বলে অভিযোগ। তদন্ত চালিয়ে এই দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে। মালদহ জেলা খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত সুন্দর দাস বলেন, “সাহবানচকের একজনকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ভুয়ো কার্ডে পণ্য তোলার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৪ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ডিলারশিপও সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

বৈষ্ণবনগরের যে রেশন ডিলারকে মোটা অঙ্কের এই জরিমানা ধার্য করা হয়েছে, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আশরাফুল ইসলাম নামে ওই রেশন ডিলার সাহবানচক পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি। এছাড়াও কালিয়াচক ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্য তিনি। তৃণমূল নেতা তথা অভিযুক্ত রেশন ডিলার আশরাফুল ইসলামকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি।

শুধু খাদ্য দফতর নয় এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, বাংলাদেশিদের নামেও জাল রেশন কার্ড করা হচ্ছে। রেশন সামগ্রী পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। বর্ডার এলাকা থেকে এইসব লেনদেন চলছে বলেও দাবি বিরোধীদের।