Awas yojana: অন্যের কাঁচা ঘর দেখিয়ে অট্টালিকা বানিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত সার্ভে কর্মী
Malda: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা পীতাম্বর দাস। তিনি মাটির বাড়িতে থাকেন। সেই বাড়ি এক প্রকার ভগ্নপ্রায় দশা। বাংলা আবাস যোজনায় পুনরায় ঘর দেওয়া শুরু হলে স্বপ্ন দেখে ছিলেন এবার হয় তো পাকা বাড়ি মিলবে। তালিকাতে নাম ছিল তাঁর। প্রশাসনের কর্মীরা এসে ঘর দেখে ছবি তুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তালিকা থেকে নাম বাদ চলে যায়।

মালদহ: অন্যের কাঁচা বাড়ি দেখিয়ে আবাস যোজনার টাকা আত্মসাত। যাঁর কাঁচা বাড়ি তিনি বঞ্চিত। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ,জানা যাচ্ছে তিনি নাকি আবার আবাস যোজনারই তালিকা তৈরির সার্ভে অফিসার। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। শোরগোল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা পীতাম্বর দাস। তিনি মাটির বাড়িতে থাকেন। সেই বাড়ি এক প্রকার ভগ্নপ্রায় দশা। বাংলা আবাস যোজনায় পুনরায় ঘর দেওয়া শুরু হলে স্বপ্ন দেখে ছিলেন এবার হয় তো পাকা বাড়ি মিলবে। তালিকাতে নাম ছিল তাঁর। প্রশাসনের কর্মীরা এসে ঘর দেখে ছবি তুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তালিকা থেকে নাম বাদ চলে যায়। পীতম্বর বলেন, “আমার আগে নাম ছিল। এখন নেই। পরে আমায় অন্যের পাকা বাড়ি দেখিয়ে বলছে যে এটা নাকি আমার বাড়ি।”
অভিযোগ, তাঁদের এই মাটির বাড়ি দেখিয়ে অট্টালিকা বাড়ি রয়েছে এমন কেউ ঘর পেয়ে গিয়েছেন। যিনি আবার সার্ভে কর্মী বলেই জানা যাচ্ছে। এরপর হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ঘরের দাবি জানিয়েছে বঞ্চিত উপভোক্তা। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ দুর্নীতির জন্যই কেন্দ্র সরকার টাকা দেওয়া বন্ধ রেখে ছিল। রাজ্য সরকার টাকা দেওয়ার নাটক করছে। প্রশাসনের মদতে এই ভাবেই দুর্নীতি করে ঘরের টাকা তৃণমূল নেতারা আত্মসাৎ করছে।
যদিও পাল্টা এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি কেন্দ্র সরকার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত রেখেছিল। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী ঘর দিচ্ছে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে প্রশাসন সেটা দেখবে। তৃণমূল নেত্রী মার্জিনা খাতুন বলেন, “কেন্দ্রই টাকা বন্ধ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘরের টাকা দিচ্ছে। এখন শুনছি এমন অভিযোগ। গোটাটাই তদন্ত হবে।”
