TMC Group Clash: তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূল, ৫০ লক্ষ লোপাটে তরজা ঘাসফুলের অন্দরে
Malda: এদিকে, তৃণমূল সদস্যের তোলা অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছে ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য ফিরোজ আলম।
মালদা: পঞ্চায়েত স্তর হোক বা রাজ্যস্তর, ‘দুর্নীতি’ শব্দটার যেন প্রতিটি কোণেই সমবিচরণ। কখনও বিজেপি, কখনও সিপিএম, শুধু বিরোধীদের ছোড়া তীরেই নয়, শাসক এই ‘দুর্নীতি’ ইস্যুতে একাধিকবার বিদ্ধ নিজের তীরেই। জায়গায় জায়গায় খবরের শিরোনামে তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূল। এবার তৃণমূলের একপক্ষের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের ওপর পক্ষের সঙ্গে ‘জোট’ সিপিএমের। তাদের যৌথ সুর কাঠগড়ায় তুলেছে পঞ্চায়েত প্রধানকে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছেও।
দুর্নীতি ইস্যুতে এবার সরগরম মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর বারুই গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূলের প্রধান মোস্তাক হোসেন। অভিযোগ, টেন্ডার দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। আর সেই টাকাতেই ভরেছে তার পকেট। পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন খোদ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন প্রধান সোনামণি সাহা। উচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
এদিকে, তৃণমূল সদস্যের তোলা অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছে ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য ফিরোজ আলম। দুর্নীতি ইস্যুতে সুর মিলিয়েছেন ঘাসফুল সদস্যের সঙ্গেই। তিনি বলেন, ‘৫০ লক্ষ টাকার টেন্ডার দুর্নীতি করেছে মোস্তাক হোসেন। গ্রামের রাস্তাঘাট, আলো, ড্রেনসহ প্রচুর কাজ করার ছিল ওই টাকায়। কিন্তু ঘুরে দেখলেই বোঝা যাবে, কোনও কাজই হয়নি। সব টাকা আত্মসাৎ করা হয়ে গিয়েছে। সঠিক তদন্ত করলেই গোটা বিষয়টি জানা যাবে।’ যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোস্তাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়েছে। তাই দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই নেই।’
এ দিকে, দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওর কাছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দফতর। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত কাগজপত্র, টেন্ডার প্রক্রিয়া। কথা বলা হচ্ছে দু’পক্ষের সঙ্গেই।