মালদহ: শুধুমাত্র সিসিটিভি বসাতেই প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ। চমকে দেওয়া বিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের। শোরগোল মালদহে। জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ সব টাকা নির্দিষ্ট কম্পানিকে দিয়েও দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ১২৮টি ক্যামেরা কিনতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিটা ক্যামেরা কিনতেই খরচ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্যামেরা বসাতে ল্যান কেবলের জন্যে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা। ফলে প্রতিটা ক্যামেরার পিছনে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া খরচ নিয়ে শিক্ষা মহলে হৈচৈ। তীব্র বিতর্ক। অন্যদিকে স্পিকটি নট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাধ্যক্ষ পবিত্র চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এসবই কমিটি ঠিক করে। তিনি শুধু চেয়ারে। অন্যদিকে, কোনও আধিকারিক এই নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।
সম্প্রতি মালদহ শহরজুড়ে রাস্তায় উন্নতমানের ১৫০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে চেম্বার অব কমার্সের দায়িত্বে। তারা হতবাক গোটা শহর জুড়ে ক্যামেরা বসাতে যে খরচ, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচের ধারে কাছে নেই। শহরে ১৫০টি ক্যামেরা বসাতে মোট খরচ হয়েছে মাত্র ৫ লাখ টাকা। মালদহের চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় খরচ করে ক্যামেরা বসিয়েছে, এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। কিন্তু, এত টাকা কীভাবে খরচ হয়, সেটাই প্রশ্ন। এটা মানুষের কাছে হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটার পূর্ণ তদন্ত হওয়া দরকার।”
কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৮টি সিসিটিভি ক্যমেরা বসানো হয়। একটি কম্পানিকে কাজের বরাত দেওয়া হয়। একই কম্পানি এর পূর্বে বহুবার ল্যান ও ওয়াইফাই ও সার্ভার বিক্রি করে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে। আশ্চর্যের বিষয় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও দিনই ওয়াইফাই নেই। অথচ কোটি টাকা খরচ করা হয়। প্রায় দশ বছর কোনও ফিনান্সিয়াল অডিটও করা হয়নি বলে অভিযোগ।