Deocha Pachami: ‘বাইরের কাউকে দেউচা-পাঁচামি যেতে দেব না’, সিউড়িতে বিক্ষোভ আদিবাসীদের
Deocha Pachami: এদিন সিলিকোসিস কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে দেউচা-পাঁচামি যাওয়ার কথা ছিল ৪০ থেকে ৫০ জনের একটা টিমের। সিউড়ি স্টেশনে নামতেই সেই টিমের লোকজনদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়লা খনি এলাকার আদিবাসী লোকজন।

সিউড়ি: দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ করা যাবে না। এই দাবিতে বুধবার সিউড়ি রেলস্টেশনে সিলিকোসিস কো-অর্ডিনেশনের লোকজনদের ঘিরে বিক্ষোভ আদিবাসীদের। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তাঁরা চান কয়লা উত্তোলন হোক দেউচা-পাঁচামিতে। তাই, বহিরাগতরা গিয়ে যাতে কয়লা খনি বন্ধে উসকানি দিতে না পারেন, সেজন্য বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।
এদিন সিলিকোসিস কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে দেউচা-পাঁচামি যাওয়ার কথা ছিল ৪০ থেকে ৫০ জনের একটা টিমের। সিউড়ি স্টেশনে নামতেই সেই টিমের লোকজনদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়লা খনি এলাকার আদিবাসী লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, বহিরাগত লোকজন এখানে আসছেন। এবং দেউচা-পাঁচামির কয়লা শিল্পকে নষ্ট করার কাজ করছেন। আদিবাসীদের ভুল বোঝাচ্ছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, “আমরা দেউচা-পাঁচামির বাসিন্দা। আমরা চাইছি, ওখানে শিল্প হোক। আমরা চাই না, ওখানে বাইরে থেকে কেউ এসে অশান্তি ছড়াক। কলকাতা থেকে আসছে জানতে পেরেই আমরা সিউড়ি স্টেশনে আসি। আমরা চাই না, বাইরে থেকে কেউ এসে দেউটা-পাঁচামি যাক।” এদিন বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন আদিবাসীরা।
এই খবরটিও পড়ুন




যদিও ওই সংগঠনের সদস্যদের দাবি, তাঁরা শিল্পের পক্ষে। তাঁরা শিল্প বিরোধী নয়। কিন্তু শিল্প হলে কী কী রোগ হতে পারে, সিলিকোসিস ছড়াতে পারে কি না, সিলিকোসিস থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, এই সমস্ত কিছু আদিবাসীদের বোঝানোর জন্যই তাঁরা যাচ্ছিলেন। সংগঠনের এক সদস্য বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের আটকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা তাঁরা আগেই জানিয়েছিলেন। আদিবাসীদের বিক্ষোভের জেরে দেউচা-পাঁচামি যেতে পারেননি ওই সংগঠনের সদস্যরা। কলকাতা ফেরার ট্রেন ধরেন তাঁরা।





