Malda: মহিলার সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্দাম নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল, সঙ্গী একাধিক তৃণমূল নেতা
Malda: গোলাপগঞ্জ পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনা নিয়ে বারবার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসা তারই ফল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
মালদহ: মহিলাদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের আপত্তিকর অশ্লীল ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল। যা নিয়ে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহ জেলাজুড়ে। এমনকী মহিলাদের সঙ্গে দেদার নাচ, বিছানায় শোয়া অবস্থায় ঘনিষ্ঠ ছবিও ভাইরাল হয়েছে। তাতেই তুলকালাম মালদহ জেলাজুড়ে। অস্বস্তিতে মালদা জেলা তৃণমূল। চাপে পড়েছেন জেলার কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউল হক সহ তালেপ মিয়া, বকুল মিয়া সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। তাঁদের ছবিই ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল-ছবি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কখনও তৃণমূল নেতারা মহিলাদের নিয়ে সমুদ্রের ধারে বসে হইহুল্লোড় করছেন, কখনও বা ঘরে রমনীদের নিয়ে করছেন দেদার নাচ। এই ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলায়। যদিও এ ছবি ও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। তাঁদের কখনও পাহাড়ে, বা দিঘার সমুদ্রের ধারে,বিভিন্ন হোটেলের ঘরে দেখা যাচ্ছে। এদিকে ছবি ভাইরাল হতেও উড়ে এসেছে নানা অভিযোগ। অনেকে বলছেন প্রধান সহ অন্যান্য নেতারা দেহ ব্যবসা ও মধুচক্রের সঙ্গেও যুক্ত।
প্রসঙ্গত, গোলাপগঞ্জ পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনা নিয়ে বারবার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসা তারই ফল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। জিয়াউল হক সহ তালেপ মিয়া, বকুল মিয়ার বিরোধী শিবিরের লোকজনই তাঁদের সম্মানহানি করতে এ ছবি-ভিডিয়োগুলি সামনে এনেছে বলে মনে করছেন অনেকে। হাত থাকতে পারে তাঁদের ‘বন্ধু’ তালিকার লোকজনদেরও। অন্যদিকে এ ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি শেখর মণ্ডল জানান, “তৃণমূল দলটাই এই কাজে বিশ্বাসী। কাটমানি, দুর্নীতি’র সঙ্গে নারীদের নিয়ে কেচ্ছাতেই ওরা পারদর্শী। কাটমানি-দুর্নীতি ছাড়া ওরা চলতে পারে না।” অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার বলেন, “কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে বলে শুনেছি। ওরা কখন কোথায় কী করছিল আমি বলতে পারব না। ওটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ বিষয়ে ওদেরই জিজ্ঞেস করা ভাল। তবে একজন জনপ্রতিনিধির এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়।”