Gambling: জমিয়ে বসেছে আসর, দল বেঁধে জুয়া খেলছেন গ্রামের মহিলারাই, বাংলার কোথায় দেখা গেল এই ছবি?
Gambling: ওল্ড মালদা পুরসভার মোকাতিপুরে শুরু হয়েছে মুলা ষষ্ঠী। বেহুলা নদীর তীরে বসেছে মেলা। পুজোয় রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব। বিশেষ ধরনের লেউড়ি ভোগ দিয়ে মা ষষ্ঠীর পুজো দেন মহিলারা। আর পুজোপাঠ শেষ হতেই শুরু হয় জুয়াড়ির মেলা।
মালদহ: প্রকাশ্যেই জুয়া খেলছেন গ্রামের মহিলারা। একজন বা দু’জন নয়। একেবারে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন জুয়ার আসরে। হাসিমুখে তা দাঁড়িয়ে দেখছেন বাড়ির সদস্যরা। এদিন দিনভর এভাবেই জুয়ার আসর বসল ওল্ড মালদহে। দেখতে ভিড় হাজার হাজার মানুষের। রাজ্য তো বটেই, ভিন রাজ্য থেকেও বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলার সামগ্রী নিয়ে হয়েছেন অনেকে। কিন্তু, সব জেনেও নির্বিকার প্রশাসন? আসলে এই জুয়ার আসরের পিছনে রয়েছে অন্য গল্প।
ওল্ড মালদা পুরসভার মোকাতিপুরে শুরু হয়েছে মুলা ষষ্ঠী। বেহুলা নদীর তীরে বসেছে মেলা। পুজোয় রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব। বিশেষ ধরনের লেউড়ি ভোগ দিয়ে মা ষষ্ঠীর পুজো দেন মহিলারা। আর পুজোপাঠ শেষ হতেই শুরু হয় জুয়াড়ির মেলা। পুরুষরা যে জুয়া খেলেন না এমনটা নয়, তবে সংখ্যাধিক্যের বিচারে এখানে মহিলাদের দাপটই বেশি। একদিনের এই মেলায় দিনভর দেখা যায় জুয়ার রমরমা। কিন্তু, কীভাবে প্রচলন হল এই অদ্ভুত মেলার?
শোনা যায়, প্রাচীনকালে জঙ্গলাকীর্ণ ছিল মোকাতিপুর এলাকা। হিংস্র জীব-জন্তুদের ঘোরাঘুরিও করতে দেখা যেত। সেই ভয়েই মূলাষষ্ঠীর পুজো দিতে মহিলারা একা আসতেন না। বাড়ির কোনও পুরুষকে নিয়ে তবেই মেলায় আসতেন। মহিলারা যখন পুজোয় ব্যস্ত থাকতেন, সেই সময় পুরুষরা তাস-পাশা খেলে অবসর সময় কাটাতেন। সেই সময় থেকেই শুরু জুয়ার। ধীরে ধীরে এই মেলা এলাকায় জুয়াড়ির মেলা হিসাবে পরিচিতি পায়। তবে সেই মেলায় আবার দেখা যায় ধীরে ধীরে পুরুষদের থেকে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। যদিও প্রকাশ্যে এ ধরনের জুয়া খেলা নিয়ে বিতর্কও কম নেই। সব দেখেও কেন পুলিশ-প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয় না সেই প্রশ্ন তোলেন অনেকে।