Murder: বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের
Malda News: ধনঞ্জয় সরকার নামে ওই বিজেপি কর্মীর সঙ্গে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে ঝামেলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
মালদহ: মালদহের গাজলে (Gajol) বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। গত সপ্তাহেই গাজলের বহিরগাছি-২ গ্রামপঞ্চায়েতের খোসলামারি গ্রামে ধনঞ্জয় সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন ধনঞ্জয়। সে কারণেই তাঁকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুলও তোলা হয়। তদন্ত চলছে। তবে এরইমধ্যে এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিজেপি বিধায়ক।
চিঠিতে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ লেখেন, গত ২৭ অক্টোবর গাজলের রাজদিঘির ধনঞ্জয় সরকারকে (৫২) খুন করা হয়। এই ঘটনার সূত্রপাত ৪-৫ মাস আগে একটি পুকুর খননকে কেন্দ্র করে। ধনঞ্জয়ের জায়গায় এনআরইজিএস (NREGS)-এর বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রধানের নামও উল্লেখ করেন শঙ্কর ঘোষ।
শঙ্কর ঘোষ চিঠিতে দাবি করেছেন, ‘জেলাশাসককে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ধনঞ্জয় সরকার। যদিও জেলাশাসকের দফতর থেকে বিষয়টিতে গা করা হয়নি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। এরপরই নানাভাবে হুমকির মুখে পড়তে হয় ধনঞ্জয় ও তাঁর পরিবারকে।’ ঘটনার দিন রাতেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন শঙ্কর ঘোষ। এক ঘণ্টার মধ্যে ধনঞ্জয়কে খুন করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন গভীর রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামের পাশে একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয় ধনঞ্জয়কে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপরই পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন ধনঞ্জয়। যা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। সে কারণেই খুন হতে হয়।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রধান সুবোধ সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে পরিবার। যদিও সুবোধ সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তবে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, “অনেকের নামে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। দোষ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা সে দলের হলেও।” এবার এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন বিজেপি বিধায়ক।
