মালদহ: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার বেশিরভাগ অংশ জুড়েই নতুন মুখের ছড়াছড়ি। রয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদরা, রয়েছে তরুণ মুখও। তারকা প্রার্থীও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে এরই মধ্যে নজর কাড়ছেন মালদহ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী। মালদহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যেখানে কংগ্রেসের দাপট অব্যাহত বছরের পর বছর ধরে, সেখানে এমন আনকোরা মুখ কেন আনা হল? প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের মতো রাজনীতিককে কোথায় ছাপিয়ে গেলেন শাহনওয়াজ? এই প্রার্থীর পরিচয়ই বা কী?
লন্ডন থেকে সদ্য ফিরেছেন শাহনওয়াজ। এমনিতে তিনি মালদহেরই ছেলে। কালিয়াচকের কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের মোথাবাড়ি বিধানসভার হামিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পশ্চিম তোফি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পড়াশোনা করেছেন ফরাক্কার এনটিপিসি হাই স্কুলে। পরে পড়াশোনার সূত্রে বাইরে চলে যান তিনি। বিষয় ছিল ইতিহাস। ইনটেলেকচুয়াল হিস্ট্রিই নিয়েই কাজ করেছেন পরবর্তীতে। বহু বিদ্বজনের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল বলে জানা গিয়েছে। একসময় গবেষণাধর্মী সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি। রেহানের স্ত্রী একজন চিকিৎসক। মাস খানেক আগে তাঁরা ফিরেছেন কালিয়াচকে। এলাকার মানুষের কাছে খুব বেশি পরিচিতি নেই তাঁর।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধীনে সেন্ট অ্যান্টনিজ কলেজে গবেষণা করেছেন তিনি। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘মুসলিম অ্য়ান্ড কমিউনিজম’। অধ্যাপক ফয়জল দেবজির অধীনে গবেষণা করেন তিনি। অক্সফোর্ডে যাওয়ার আগে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। মরক্কোর আল-আখাওয়ান ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনাও করেছেন শাহনওয়াজ। তবে অতীতে কখনও রাজনৈতিক যোগের কথা শোনা যায়নি। ২০১৬-১৭ সালে সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত লিখতেন তিনি। মুসলিম-কমিউনিজম নিয়ে লিখতেন।
বর্তমানে মালদহ দক্ষিণের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। শোনা যাচ্ছে, তাঁর ছেলে ইসা খান এবার কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন। গতবার লোকসভা নির্বাচনে তিন নম্বরে ছিল তৃণমূল। অল্প ব্যবধানেই বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন ডালু বাবু। সেই কেন্দ্রেই এবার তৃণমূলের ভরসা নতুন মুখে।