Bardhaman: ‘…এখন হাঁটু জলে নেমে পাবলিক রিলেশন করছেন?’, মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন সেলিম
Bardhaman: বাম নেতা এ দিন বলেন, "উনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এফেক্ট নেই। উনি দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন এই ব্যর্থতা থেকে। প্রথম চিঠি তিনি ২০২১ দিয়েছিলেন তারপর ঘুমিয়ে থাকলেন কেন? যখন বন্যার জল ঢুকে মানুষ বিপদে পড়ল তখন ওনাকে চিঠি লিখতে হল?"
বর্ধমান: রাজ্য বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ডিভিসি-র জল ছাড়ার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, তিনি ডিভিসির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছেন। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনীতি। আর এবার মুখ খুললেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
বাম নেতা এ দিন বলেন, “উনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এফেক্ট নেই। উনি দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন এই ব্যর্থতা থেকে। প্রথম চিঠি তিনি ২০২১ দিয়েছিলেন তারপর ঘুমিয়ে থাকলেন কেন? যখন বন্যার জল ঢুকে মানুষ বিপদে পড়ল তখন ওনাকে চিঠি লিখতে হল?” এরপর বাম আমলের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “বামফ্রন্ট সরকারের আমলে জুন মাস থেকে সরকারি পর্যায়ে এই প্রস্তুতি নেওয়া হত। বাঁধ কোথায় নির্মাণ হবে, পঞ্চায়েতী ব্যবস্থাকে নামানো হত। কারণ এই এলাকা বন্যা প্রবণ। প্রতিবার বর্ষাকালীন অধিবেশনে এই নিয়ে আলোচনা হয়। এইবছর হয়েছিল? এখন অনেক আগে থেকে যানা যায় আবহাওয়া সম্পর্কে। তিনি আগে থেকে ব্যবস্থা নিলেন না কেন? এখন হাঁটু জলে নেমে পাবলিক রিলেশন করছেন?”
অপরদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার বলেছেন, “ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। আটটা জেলাতে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাবে। উনি নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট বসাতে পারেননি। এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেননি। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, সব বিদ্যুত ডিভিসি দেয়। মুখ্যমন্ত্রী জানেন সেটা। আমি কমপ্লেন করব।”