Murshidabad : দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতেই তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা? কাঠগড়ায় তৃণমূলই
Murshidabad : উহাব আলি নিজেও তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তারপরেও হল হামলা? এই প্রশ্নেই জোরালো হচ্ছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা।
মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) আক্রান্ত প্রতিবাদী। পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় দলের কাছে মুখ খোলাতেই কি খেসারত দিতে হল? পড়তে হল শাসকদলের রোষের মুখে? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় দলের কাছে পঞ্চায়েতে (Panchayat) একাধিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ডোমকল ব্লকের ১২ নম্বর জুরানপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা উহাব আলি শেখ। এদিন তার উপরেই হামলার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রবিবার সকালে জুরানপুর হাটের কাছে উহাব আলির উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি ডোমকল হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর মাথায় চোট লেগেছে বলে জানাতে পারা যাচ্ছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রধানের স্বামী সহ ৭ জনকে আটক করেছে ডোমকল থানার পুলিশ। যদি হামলাকারীরা দলে ১৫ থেকে ২০ ছিল বলে জানিয়েছে আক্রান্ত উহাব। “আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি বলেই আমার উপর হামলা হয়েছে।” আক্রমণের মুখে পড়ার পর এদিন এ কথা বলতে শোনা গিয়েছে খোদ উহাবকে।
এদিকে উহাব আলি নিজেও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তারপরেও হল হামলা? এই প্রশ্নেই জোরালো হচ্ছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা। আক্রান্ত উহাব বলেন, “আমিও তৃণমূল করি, যাঁরা হামলা করেছে তারাও তৃণমূল করে। আজ সকালে ১৫-২০ জনের একটা দল আমাকে ঘিরে ধরে। ব্যাপক মারধর করে। আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি বলেই আমার উপর হামলা হয়েছে।” একইসঙ্গে পঞ্চায়েতে যে দুর্নীতি হয়েছে তা বলতে শোনা গিয়েছে উহাবের ছেলে টনিকেও। দুষেছেন প্রধানকে। কড়া শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন।
আক্রান্তের ছেলে টনি বলেন, “সকাল ৮টা নাগাদ প্রথম আমরা খবর পাই। প্রধানের দলবলই এ কাজ করেছে। ওরা আমাদের বিরোধী মনে করে। কিন্ত, ও তৃণমূল করে আমরাও তৃণমূল করি। আমরা তো বিরোধী নই। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা হয়েছে। চাকু দিয়েও বাবাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল তদন্তকারী দল চলে যাওয়ার পরেও আমাদের উদ্দেশ্য করে ব্যাপক গালিগালাজ করা হয়েছিল। এদিকে পঞ্চায়েতে ট্যাঙ্ক বসানোর কাজেও দুর্নীতি হয়েছে। প্রচুর টাকা খেয়েছে ওরা। আমরা চাই ওদের কঠিন শাস্তি হোক।” ঘটনা প্রসঙ্গে ডোমকলের ব্লক সভাপতি হাজিকুল ইসলাম বলেন, “প্রধান যদি দুুর্নীতি করে থাকলে তা দেখার জন্য প্রশাসন আছে। অভিযোগ করলেই হবে না। প্রমাণ দিতে হবে।” তাঁর দাবি, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কিছু সিপিএম এবং কংগ্রেসের কিছু দালাল এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। যদিও এ সমস্ত ঘটনার উপর নজর রয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের।