Recruitment Scam: নিয়োগের পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষক? তিন বছর ধরে কীভাবে চাকরি? CID তদন্তে পরতে পরতে রহস্য

CID Probe: প্রশ্ন উঠছে, যে বছর কোনও নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি, সেই বছর কোন জাদুবলে চাকরি হল অনিমেষের? তাহলে কি এর পিছনে অনেক বড় কোনও চক্র রয়েছে? সেই তদন্তই এখন চালাচ্ছে সিআইডি।

Recruitment Scam: নিয়োগের পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষক? তিন বছর ধরে কীভাবে চাকরি? CID তদন্তে পরতে পরতে রহস্য
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 12:37 PM

মুর্শিদাবাদ: যে বছরে শিক্ষক নিয়োগের (Recruitment Scam) কোনও পরীক্ষা হয়নি, সেই বছরেই চাকরি পান মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাই স্কুলে চাকরি পান অনিমেষ তিওয়ারি। সিআইডির টিম জেলায় গিয়ে তদন্তে নেমে এমনই তথ্য হাতে এল। সোমবার ওই স্কুলের অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। শিক্ষকদের থেকে তদন্তকারী গোয়েন্দারা জানতে পারেন, অনিমেষ তিওয়ারি ২০১৯ সালে ডেপুটেশনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন কাজে। ২০২১ সালে তাঁর চাকরি পাকা হয়েছিল। অথচ ওই বছরে কোনও পরীক্ষাই হয়নি। তাছাড়া, এর আগেও কোনও পরীক্ষায় বসেননি অনিমেষ, এমন তথ্যও উঠে আসছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যে বছর কোনও নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি, সেই বছর কোন জাদুবলে চাকরি হল অনিমেষের? তাহলে কি এর পিছনে অনেক বড় কোনও চক্র রয়েছে? সেই তদন্তই এখন চালাচ্ছে সিআইডি।

প্রসঙ্গত, এই অনিমেষ তিওয়ারি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসিত তিওয়ারির ছেলে। অভিযোগ উঠছে, ওই প্রধান শিক্ষকই নাকি প্রভাব খাটিয়ে নথি জাল করে তাঁর ছেলে অনিমেষকে নিয়োগ করিয়েছেন। এই সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। প্রসঙ্গত, গত তিন বছর ধরে ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন অনিমেষ। সরকারি পে রোলেও নাম রয়েছে তাঁর। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসিত তিওযারি নিজের ছেলেকে ভুয়ো রেকমেনডেশন লেটার ও নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসিত তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এবার ওই স্কুলের অন্য শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বললেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী অনিমেষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হাইকোর্টে। মুর্শিদাবাদের অনিমেষ তিওয়ারি নামে ওই শিক্ষক ভূগোলের শিক্ষকতা করেন। অন্য প্রার্থীর সুপারিশপত্র নকল করে অনিমেষ চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ মামলাকারীর।