মুর্শিদাবাদ: ফুলের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নাবালিকাকে। পরে উদ্ধার হয় সেই নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার সেই ঘটনায় এবার পকসো আইনে দায়ের হল অভিযোগ। এই ঘটনায় গতকাল, রবিবার খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। আর সোমবার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ফরাক্কা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতের মায়ের অভিযোগ, তাঁদের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
রবিবার ফরাক্কায় এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ ফুল কুড়নোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। ফুল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকাবাসী। অভিযুক্তকে মারধর করা হয়। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানান যে প্রথমে খুনের মামলা দায়ের হয়েছিল। পরে পকসো আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের শারীরিক অবস্থার খারাপ রয়েছে তাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। সোমবার আদালতে বিষয়টি জানানো হবে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের মৃত্যুতে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ২ মাস আগের সেই ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত রাজ্য। দুর্গা পুজোর মধ্যেও থেমে থাকেনি আন্দোলন। সেই আবহেই ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল রাজ্যে।