বহরমপুর: বিশ্বকাপ জয়ের আবেগঘন মুহূর্তকে হাতিয়ার করে চলছে ভোট প্রচার। হাতিয়ার করা হচ্ছে সচিন তেন্ডুলকরের মতো ব্যক্তিত্বকে। বরহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস। তাতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন চাপানউতোর। এদিকে অভিযোগের প্রসঙ্গ উঠতেই সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গর্জে উঠলেন ইউসুফ। সুর চড়ালেন জেলার তৃণমূল নেতারাও।
কার্যত হুঙ্কারের সুরেই এদিন ইউসুফ সাফ বলেন, “বিশ্বকাপের সঙ্গে আমার ছবি আছে মানে বিশ্বকাপ আমি জিতেছি। ভারতে খুব কম লোকের কাছে এই সুযোগ এসেছে। খুব কম লোকই হাতে বিশ্বকাপ নিতে পেরেছেন বা বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হতে পেরেছেন। আমি পরিশ্রম করে ওটা অর্জন করেছি। গোটা দেশবাসী তাঁর সাক্ষী। সবাই এটা মেনে নেবেন। যদিও কোনও আইনি সমস্যা থাকে তাহলে লিগ্যাল টিম দেখবে। ওরাই কীভাবে সমস্যার সমাধান করা তা খেয়াল রাখবে।”
প্রসঙ্গত, বহরমপুরে ইউসুফ-অধীরের মধ্যে যে জোর টক্কর হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কংগ্রেসের টিকিটে বহরমপুর থেকে লড়ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একসময় গোটা মুর্শিদাবাদে ভালই ক্ষমতা ছিল কংগ্রেসের। যদিও সাম্প্রতিককালে শক্তিক্ষয় হলেও বরহমপুরে এখনও অটুট রয়েছে হাতের ক্ষমতা। ১৯৯৯ সাল থেকে আর বদল হয়নি সাংসদ। জিতে আসছেন অধীর।
এদিকে ভোট প্রচারে সচিন-বিশ্বকাপ বিতর্ক নিয়ে ইউসুফের হয়েই ব্যাট ধরেছেন বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার। তিনি বলছেন, “ইউসুফ পাঠান বিশ্বকাপ জয় করেছেন। বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য। এই দলের সদস্য হিসাবে আমাদের অনেকেই আছে যাঁরা ছবি-টবি লাগাতে পারেন। কারও যদি সমস্যা আছে বলে মনে হয়, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে অভিযোগ করবেন। আমরা উত্তর দেব। আমরা এমন কোনও কাজ করব না যেটা নির্বাচনী বিধির বাইরে গিয়ে করা যায় না।”