Jiban Krishna Saha: দীর্ঘক্ষণ জলে থাকার পরও আদৌ কি জীবনের মোবাইলের ‘জীবন’ মিলবে? ভাবছে CBI
Jiban Krishna Saha: সিবিআই সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মোবাইল হায়দরাবারে সেন্ট্রাল ফরেনসিক টিমের কাছে পাঠানো হবে ডেটা উদ্ধারের জন্য।
বড়ঞা: ব্যবধান ৩২ ঘণ্টা। জলে ডুবে থাকল একটি মোবাইল, যেটাই কিনা নিয়োগ দুর্নীতিতে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই-এর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। পুকুরের জল ছেঁচে জীবনকৃষ্ণের মোবাইল উদ্ধার হয়েছে বটে, তবে আদৌ কি তা থেকে কোনও তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হবে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ডি়জিট্যাল এভিডেন্স, হিসাবনিকেশের তথ্য উদ্ধার করা কার্যত অসম্ভব! পুকুর ছেঁচে জীবনের মোবাইল মেলায় এবার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে সিবিআই। যদি ডেটা উদ্ধার করা সম্ভবও হয়, তাহলে কীভাবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তাভাবনা করছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, ডেটা উদ্ধারের জন্য উদ্ধার হওয়া মোবাইল হায়দরাবারে সেন্ট্রাল ফরেনসিক টিমের কাছে পাঠানো হবে। তবে এখনও পর্যন্ত একটি মোবাইলের খোঁজে চলছে। তল্লাশি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তখনই তিনি নিজের দু’টি মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। নাছোড় সিবিআই মোবাইল উদ্ধারে পুকুরের জল ছেঁচা শুরু করেন। সাহায্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। যেনতেন প্রকারণে মোবাইল দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। ৩২ ঘণ্টা পার হলে উদ্ধার হয় একটি মোবাইল।
দেড় দিন পেরিয়েছে। এখনও তৃণমূল বিধায়কে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সূত্রের খবর, বিধায়কের স্ত্রীর গয়নার বাক্স থেকে ২ টি পেনড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি লাগোয়া ঝোপ থেকে মিলেছে ৫ টি ব্যাগ। ৩০০-র বেশি নিয়োগপ্রার্থীদের ছবি সহ অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশনের নথি মিলেছে। উদ্ধার চাকরির জন্য দেওয়া টাকা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড়ঞার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ কৌশিক ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর সেই কৌশিকের সূত্র ধরেই জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে হানা দেয়। বড়ঞা ছাড়া বাকি যে পাঁচ জায়গায় তল্লাশি চলেছে, সেখান থেকেও প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
জীবন এখনও বাড়ির ভিতরেই। রাতভোর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সকালে কিছুটা বিরতির পর ফের শুরু হয়েছে জেরা।