Murshidabad Unrest: ভিতরে তখন বৈঠকে রাজীব কুমার, সামশেরগঞ্জ থানার বাইরে গলা চড়ালেন এলাকাবাসীরা, বললেন, ‘বিপদে পুলিশ আসেনি, বিএসএফ ক্যাম্প চাই’
Murshidabad Unrest: শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ব্যাপক তাণ্ডব চলেছে সামশেরগঞ্জ থানা সংলগ্ন এলাকায়। সেই তাণ্ডবলীলা দেখেই এলাকাবাসীরা অনুভব করেছেন, পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বিএসএফ না থাকলে প্রাণে মরতে হত প্রত্যেক বাসিন্দাকে।

মুর্শিদাবাদ: থমথমে মুর্শিদাবাদ। বুধবার বা বৃহস্পতিবারে যে ছবি ছিল, তা বিগত দুই দিনে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। শুক্রবার-শনিবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সুতি বা জঙ্গিপুরে যে তাণ্ডব চলেছে, তা রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। এলাকাবাসীরা সর্বক্ষণ আতঙ্কে রয়েছেন। ভরসা রাখতে পারছেন না পুলিশের উপরেই। তাই সামশেরগঞ্জ থানার সামনেই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখালেন বিএসএফ ক্যাম্প চেয়ে।
শনিবারই মুর্শিদাবাদে পৌঁছন রাজ্য় পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। পরিস্থিতির খতিয়ান নিতে তিনি সামশেরগঞ্জ থানায় যান। সেখানে অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে। থানার ভিতরে যখন বৈঠক চলছে, তখন বাইরে চরম বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন সামশেরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। তাদের মুখে একটাই কথা, “পুলিশের উপর ভরসা নেই। এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই।”
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ব্যাপক তাণ্ডব চলেছে সামশেরগঞ্জ থানা সংলগ্ন এলাকায়। সেই তাণ্ডবলীলা দেখেই এলাকাবাসীরা অনুভব করেছেন, পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বিএসএফ না থাকলে প্রাণে মরতে হত প্রত্যেক বাসিন্দাকে। তাই বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। প্রশাসনকে বিএসএফ ক্যাম্প তৈরির জন্য জমি দিতে হবে বলেও দাবি জানান তারা।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “পার্কের পাড় উঠিয়ে বিএসএফের ক্য়াম্প তৈরি করা হোক। আমরা একটু শান্তি চাই”। আরেক মহিলা বলেন, “আমরা চার ঘণ্টা অপেক্ষা করলাম। কই, পুলিশ আসেনি তো। আমরা কীভাবে পুলিশের উপরে ভরসা করব?”। পাশ থেকেই আরেকজন বলে ওঠেন, “পুলিশ আমাদের কোনও সাহায্য করেনি। বিএসএফ সাহায্য করেছে। বিএসএফ আছে বলে আমরা রাতে একটু শান্তিতে থাকতে পেরেছি, নাহলে সেটাও পারতাম না। আমাদের বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প চাই।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এক এলাকাবাসী আরও বলেন, “পুলিশকে চাই না। পুলিশ দৌড়ে পালিয়েছে। আমাদের বলছে, আপনারা এগিয়ে যান। আজ বিএসএফ আছে বলে আমরা সুরক্ষিত আছি। বিএসএফ না থাকলে তখন আমাদের কে সুরক্ষা দেবে?”





