কলকাতা: পুলিশের বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সালারে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “টাকার বিনিময়ে কেস সাজানো হচ্ছে। বেশি করলে আমি থানার সামনে আন্দোলনে বসে যাব। আমার মটকা গরম হয়ে গেলে কাউকে ছাড়ব না।” একইসঙ্গে দলের একাংশকে আক্রমণ করে তাঁর অভিযোগ, ভাগ বাটোয়ারার দ্বন্দ্বে মৃত্যু হচ্ছে জেলায়।
কয়েকদিন আগে এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। নাম না করে ভরতপুরের দুই নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিলেন। একটি মৃত্যুর ঘটনায় তিনবার এফআইআর হয়েছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভরতপুরের বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি শুধু চুপ করে বসে আছি। কেউ যদি বেশি বেশি করে আমি কিন্তু কাউকে ছাড়ব না। আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করে আসছি। প্রয়োজনে থানার সামনে আন্দোলনে বসে পড়ব।”
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোনও সম্মান পান না বলেও এদিন আক্ষেপ প্রকাশ করেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, “ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা কেউ ন্যূনতম সম্মান করেন না। আমি সহ্য করি। আমরা বিধানসভায় সম্মান পাই। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করি। যখন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা বেশি বাড়াবাড়ি করেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করি বাধ্য হয়ে। কিন্তু এখানে কেউ সম্মান করেন না।”
কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলাম ২০১২ সালে। ২০১৮ সালের পর যারা এসেছে তারা চক্রান্ত করে দলের ক্ষমতায় রয়েছে।” হুমায়ুনের হুঁশিয়ারি নিয়ে কটাক্ষ করেছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা কংগ্রেসের জয়ন্ত দাস বলেন, “তৃণমূলে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন হুমায়ুন কবীর। সবাই ধরে নিচ্ছে এ ফাঁকা কলসির মতো শুধু বাজতে থাকবে। কিন্তু একটা কথা, থানায় যে অভিযোগ বদলানো যায়, তা প্রমাণ করছেন হুমায়ুন কবীর।”