MLA Harassment: তৃণমূল বিধায়ককে ‘হেনস্থা’, ফের কাঠগড়ায় শাসকদলের অভ্যন্তরীণ আকচাআকচি

Sagardighi: সাগরদিঘির দামশের বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছে বলে অভিযোগ।

MLA Harassment: তৃণমূল বিধায়ককে 'হেনস্থা', ফের কাঠগড়ায় শাসকদলের অভ্যন্তরীণ আকচাআকচি
নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 5:56 PM

মুর্শিদাবাদ: থানা চত্বরে তৃণমূলের বিধায়ককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভের অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে সাগরদিঘি থানার সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাগরদিঘি থানায় গিয়েছিলেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। সাগরদিঘির দামশের বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছে বলে অভিযোগ। এর জেরে মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকায় প্রভাব পড়ছে। এই সমস্যা সমাধানেই একপক্ষের হয়ে থানায় গিয়েছিলেন নবগ্রামের বিধায়ক। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে দলেরই কিছু লোকজন ঘিরে ধরেন। তাঁরা আবার দলেরই আরেক বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুব্রত সাহার অনুগামী বলেও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কোনওমতে কানাইচন্দ্রকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও কানাইচন্দ্র বলেন, “কারা ছিল বলতে পারব না। শুনছিলাম তো অনেক কিছুই। জানি না। এটা পুলিশ বলতে পারবে।” অন্যদিকে সুব্রত সাহার অনুগামী হিসাবে পরিচিত স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানান, কোনও দলাদলির বিষয়ই নয়। দলের বিধায়কের উপর স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ধেয়ে যান। তাই দলের কিছু ছেলে রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় সুব্রত সাহার কোনও বক্তব্য অবশ্য পাওয়া যায়নি।

সাগরদিঘির তৃণমূল নেতা কিসমত শেখ বলেন, “যা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে সেরকম কিছুই না। কালকে আমাদের চেয়ারম্যান সম্মানীয় কানাইচন্দ্র মণ্ডল থানায় যান। দামশের বিল নিয়ে দুই পক্ষর সঙ্গে বড়বাবুর একটা বৈঠকের বিষয়ে। কাবিলপুরের মানুষ যারা মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করেন, তাঁদেরই প্রায় শতাধিক মানুষ এসে আমাদের চেয়ারম্যানকে হেনস্থা করেন। সাগরদিঘি থানা আর বাসস্ট্যান্ড ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। আমাদের ছেলেরা সবাই বাসস্ট্যান্ডেই থাকে। যখন দেখল যে আমাদের চেয়ারম্যান কানাইবাবুকে কিছু মানুষ আক্রমণ করছে তারা ছুটে গিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। চেঁচামেচি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কানাইবাবুকে রক্ষা করার জন্যই গেছেন। উনি জেলার বিধায়ক। তাঁর উপর হামলা হলে আমাদের ছেলেরা যাবে না?”

যদিও এ প্রসঙ্গে কানাইচন্দ্র মণ্ডল জানান, দামশের বিল নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিনের। দলের অনেকের কাছেই দু’পক্ষ গিয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি। এরপরই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির তরফে তিনি, খলিলুর রহমানরা হস্তক্ষেপ করেন। তাতেই সমস্যা সমাধানের পথে যাচ্ছিল। সাগরদিঘির পুলিশকেও এ বিষয়ে জানাতে গিয়েছিলেন সোমবার। সেখানেই থানায় তাঁদের উপর একদল মদ্যপ অবস্থায় চড়াও হন। নবগ্রামের বিধায়কের কথায়, “মদ্যপ অবস্থায় একদল ঘিরে ধরে আমাদের। আমার কাছে যা খবর তাতে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে। আমার তো মনে হয়েছে ওখানে যারা ছিল স্থানীয় মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের অনুগামীও হতে পারে। তবে কারা ছিল আমি জানিও না, বলতেও পারব না। তবে মদ্যপ ছিল।”