Video: রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গান গেয়ে মন কাড়লেন জেলবন্দি, মুগ্ধ হয়ে শুনলেন সবাই

Video: রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গান গেয়ে মন কাড়লেন জেলবন্দি, মুগ্ধ হয়ে শুনলেন সবাই

Mahadeb Kundu

| Edited By: Soumya Saha

Updated on: May 10, 2023 | 4:34 PM

Nadia: তেহট্ট মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং তেহট্ট উপসংশোধনাগারের এক যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। সেখানে সংশোধনাগারের আবাসিক এবং এলাকার কিছু শিশু শিল্পীদের নিয়ে সংশোধনাগারের কমিউনিটি হলে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

তেহট্ট: মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ভাবে রবীন্দ্রজয়ন্তীর (Rabindra Jayanti) অনুষ্ঠান পালিত হল। আর এরই মধ্যে এক অনন্য দৃশ্য দেখা গেল নদিয়ার তেহট্টের (Tehatta) উপসংশোধনাগারে। রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সংশোধনাগারে বন্দি অবস্থায় নিজে গান লিখে, সুর দিয়ে সেই গান পরিবেশন করলেন এক বন্দি। আর তা মুগ্ধ হয়ে শুনলেন বাকি বন্দিরা। তেহট্ট মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং তেহট্ট উপসংশোধনাগারের এক যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। সেখানে সংশোধনাগারের আবাসিক এবং এলাকার কিছু শিশু শিল্পীদের নিয়ে সংশোধনাগারের কমিউনিটি হলে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে সংশোধনাগারে মোট ২১৩ জন আবাসিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা রয়েছেন সাতজন। সেখানে আবাসিকদের মধ্যে সঙ্গীত পরিবেশন করলেন সংশোধনাগারের আবাসিক গোপাল বিশ্বাস। তিনি সঙ্গীত পরিবেশনের আগে দু’এক কথায় জানালেন, সংশোধনাগারে বন্দি অবস্থায় তিনি নিজে একটি গান লেখেন। সেই গানের সুর ও তালও তাঁর নিজেরই দেওয়া। গতকাল রবীন্দ্র জয়ন্তীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সেই গান পরিবেশনও করেন তিনি। গোপাল বিশ্বাসের সেই গান চোখে জল এনে দেয় বাকি আবাসিকদেরও। গতকালের অনুষ্ঠানে অন্যান্য শিল্পীরাও সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

মঙ্গলবারের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেহট্টের মহকুমা শাসক মৌমিতা সাহা, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং সংশোধনাগারের অন্যান্য আধিকারিকরা। তাঁদের সামনেই এই সঙ্গীত পরিবেশন করেন গোপাল বিশ্বাস।

উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল তেহট্ট মহকুমার বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। কবিগুরুকে সামনে রেখে কলাকুশলীদের ভ্রাম্যমান মিলিত আবৃত্তি পাঠ ও সঙ্গীত পরিবেশনও হয় তেহট্টে।  এলাকায় এমন প্রভাতফেরির আয়োজন দেখে খুশি এলাকার মানুষজনও। তাঁদের কথায়, এই ধরণের অনুষ্ঠান আরও হোক, অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকুক রবীন্দ্র-নজরুল।