BSF: ভারতের নদী চুরি করতে উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশ! বাংলাদেশ সেনাকে মুখের উপর জবাব BSF-এর

BSF: কিন্তু কেন? কী দখল করতে চায় বাংলাদেশ? বুজে আসা একটা নদী। জল শুকিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই জলেই চলছে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মাইকিং। গোড়ালি ডোবা জলেও নামতে দেবেন না ভারতীয়দের।

BSF: ভারতের নদী চুরি করতে উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশ! বাংলাদেশ সেনাকে মুখের উপর জবাব BSF-এর
এই নদীই দখল করে নিতে চায় বাংলাদেশImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2025 | 3:47 PM

নদিয়া: বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি, তার জেরে সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ। তার মধ্যেই বেনজির ছবি সামনে আসছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)-কে কাঁটাতারের বেড়া তুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কাঁটাতারের বেড়া তোলা নিয়ে BSF-এর সঙ্গে সংঘাত দেখা দিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী BGB-রও। বাংলার একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে এই ছবি ধরা পড়েছে। কিন্তু কেন? কী দখল করতে চায় বাংলাদেশ? বুজে আসা একটা নদী। জল শুকিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই জলেই চলছে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মাইকিং। গোড়ালি ডোবা জলেও নামতে দেবেন না ভারতীয়দের।

জায়গা দখল করতে ব্রিটিশ আমলে দেশে ভাগের সীমানা নির্ধারণের সিমেন্টের পিলার তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় সিমেন্টের পিলার দিয়ে সীমানা ভাগ করা হয়েছিল। সেই সীমানা ভাগের সিমেন্টের পিলার তুলে নিয়ে সেই নিজেদের দখলে রাখতে চায় বাংলাদেশ। তাই পুরাতন মানচিত্র দেখে নতুন করে সীমান্তের তারকাটা দিলে সমস্যা বাড়বে বাংলাদেশের। কমে যাবে অনেক জায়গা। তাই সীমানার তারকাটা দিতে আপত্তি বাংলাদেশের বলে দাবি এলাকার মানুষের।

কোদালিয়া নদী বাংলাদেশ থেকে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে ইছামতিতে সংযোগ ঘটেছে। এই নদীর বৃহৎ অংশ ভারতবর্ষের মধ্যে প্রবেশ করেছে। নদীর এই বাঁকা চোরা পথে ভারতের মানুষের জায়গা রয়েছে নদীর দুই পাড়ে। একটি পাড়  বাংলাদেশের দিকে, আরেক পাড়ে ভারত, বাংলার গ্রাম। নদীর ওই পারে বাংলাদেশের দিকে হলেও ভারতবর্ষের অংশ। ভৌগোলিক অবস্থান মূল কারণে বসবাস না করলেও এপারের মানুষ নদী পেরিয়ে চাষাবাদ করতে যান।

নদীর জল পারাপার করে বর্ষার সময় কৃষিকাজ করতে যেতে সমস্যা হয় কৃষকদের।   নদীর জলও দুই পাড়ের মানুষ ব্যবহার করতেন চাষ-সহ যাবতীয় সমস্ত কাজে। মাঝে সীমান্তের ৫৩ নম্বর পিলারটি ভেঙেও দেন তাঁরা। এখন সেই জমিই তাঁদের বলে এখন দাবি করছেন। পাশাপাশি নদীটিও তাঁদের দখলে বলে বাংলাদেশ মাইকের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অন্যায় আবদার বলে দাবি এলাকার মানুষের। এক মৎস্যজীবী সৌমিত্র সাঁতরা বলছেন, “মগের মুলুক চলছে। পায়ে পা বাঁধিয়ে ঝগড়া করছি। নতুন সরকার যখন গঠন হয়েছে, তখন থেকেই এই অবস্থা।”

আরেক বাসিন্দা আনন্দ সাঁতরা বলেন, “এখন ওরা বলছে সবই বাংলাদেশের। জিরো পয়েন্টে যাঁরা রয়েছি, তাঁদের খুবই শোচনীয় অবস্থা। বাংলাদেশ কি গায়ের জোরে নিয়ে নেবে? নদীতে ওরা টহল দিচ্ছে, মাইকিং করছে।” জিরো পয়েন্টের আরেক বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, “আমাদের বিএসএফ, বিজিবি-র মিটিং হয়েছে, তারপরও ওদের আগ্রাসনটা উচ্চ পর্যায়ে বেড়ে গিয়েছে। এখানে ২৪০০ ভোটার, জনগণ প্রায় চার হাজার, যাবে কোথায় এরা? এই পরিস্থিতিতে ওদের যা আচরণ, তাতে আমাদের রাত্রিযাপন করা খুবই কষ্টকর।”